সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গতকাল রোববার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সিগমা হুদা। ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন এই সাবেক মন্ত্রী। তিন দিন আগেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা, দুই মেয়ে অন্তরা ও শ্রাবন্তী আমিনা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন নাজমুল হুদা। তিনি একজন ব্যারিস্টার, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। ২০১২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন। নাজমুল হুদা বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
নাজমুল হুদা জিয়াউর রহমান গঠিত জাগদলে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে গঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দলের সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। নাজমুল হুদা বিএনপি সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ওয়ান ইলেভেনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়। ২০১০ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে বহিস্কার করার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বহিস্কৃত হওয়ার পরও তিনি দলীয় কাজ নিয়মিত রাখেন। ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১২ সালে ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
২০১২ সালের ১০ আগস্ট নাজমুল হুদা ও আবুল কালাম মিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। কিন্তু কয়েকমাস পরে আবুল কালাম কর্তৃক বিএনএফ থেকে বহিষ্কার হন। ২০১৪ সালের ৭ মে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জোট নামে একটি জোট গঠন করেন। এবং ২১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি নামে দল গঠন করেন। ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন।ব্যারিস্টার সিগমা হুদা নাজমুল হুদার স্ত্রী। তাদের দুটি মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা।