সুরমা টাইমস ডেস্ক:
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা।
ছাত্রশিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী “অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল” এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবির এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। বিজয়ের মাসে তাদের এই বক্তব্য গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০শে জানুয়ারি) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পঁচানব্বই ভাগই ছিল মুসলিম।
আমরা তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা, মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝেশুনেই আমরা দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকেও বিষয়টা ন্যায্য ও যৌক্তিক ছিল বিধায় দেশের শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন।
আমরা ৭১-এর পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরকে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে রাজনীতি করার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদানকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, আব্দুল সালাম, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) জয়নাল আবেদীন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান বার প্রতীক, এম এ শহীদ বাবলু,
মোকসেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মুজিবুর রহমান ছানা, জহিরুল আলম তরফদার, প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, মোস্তফা শাহাবুদ্দীন রেজা, মো. ওবায়দুল হক ভূঁইয়া, মোবারক হোসেন,
মো. কামাল উদ্দিন, আব্দুল হাকিম খান, মো. শরীফ হোসেন, আনোয়ারুল আলম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল বাসেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল নোমায়েন, প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম, মুজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির,
আব্দুল কাদের, মো. গাউস মিয়া, কমান্ডার আফজাল হোসেন, নূর ইসলাম, নুরুল বাশার, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, কমান্ডার ইউসুফ মৃধা, রফিকুল ইসলাম, এমএ বারী, এসএম কামাল, মজিবুর রহমান বাদল, জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।