সুরমা টাইমস ডেস্ক:
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মুখে অপসারিত দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন আহমদ ও উপাধ্যক্ষ তাহিয়া সিদ্দিকাকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্ঠার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ে প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বুধবার (২৯শে জানুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন আহমদ ও উপাধ্যক্ষ তাহিয়া সিদ্দিকা পদত্যাগ করেছিলেন।
স্বৈরাচারের তাবেদার এই দু’জনকে আবারো ঐতিহ্যবাহী খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্ঠা করা হচ্ছে। এরকম অপচেষ্ঠা করা হলে আবারো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে অপসারিতদের ব্যাপারে তদন্তের নামে টালবাহানা ও সময়ক্ষেপন এবং অপসারিত সাবেক স্বৈরাচারদের বিচার নিশ্চিত করার পূর্বেই নতুন করে প্রিন্সিপাল নিয়োগের নামে প্রহসন বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষা নীতি ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ দ্বারা পরিচালিত স্কুলের নিজস্ব আইনের সমন্বয়ে অপসারিত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের স্থায়ী অপসারণ কার্যকর করার দাবি জানান।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র দ্বারা পরিচালিত খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে মাত্রাতিরিক্ত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করে স্কুলের স্বাভাবিক পরিচালনার ক্ষমতা ও পরিবেশ একাডেমিক কাউন্সিল এর হাতে ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্কুলের ১৯৮৭ সালের প্রথম ব্যাচের কৃতি শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোস্তাফিজ খন্দকার পায়েল, সাবেক শিক্ষার্থী এডভোকেট আওসাফুজ্জামান রাফিদ, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল সাউদ,
হোসাইন আহমেদ হাসান, সাফওয়ান বখত, জাহিদুল ইসলাম ওমর, বর্তমান শিক্ষার্থী সিহাবুর রহমান, সালমান আহমেদ সোহান, ইয়াস চৌধুরী, সৈয়দ সামীর আশরাফ, শাহদিয়া আমিন নিশা, বুশরা আমিন নোভা প্রমুখ।