ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আসন ভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে আজ ২৪ মে, ২০২৩ইং, বিকাল ৫টায় দৈনিক বাংলা মোড়ে, বিকাল ৪টায়, বিক্রমপুর প্লাজা, জুরাইন, যাত্রাবাড়ি পার্ক, খোকা মাঠের সামনে, ঢাকেশ্বরী মন্দির (আজাদ মাঠ), কমলাপুর স্কুল (বৌদ্ধমন্দির), ধানম-ি-৩২ নম্বরে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের উদ্যোগে আসন ভিত্তিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা ও সঞ্চালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে দৈনিক বাংলা মোড় থেকে মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে এসে শেষ হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে গর্ব করে বলতে পারে, অহংকার করে বলতে পারে আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের সৎ নেতৃত্বের মধ্যে যিনি তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। যিনি বাবা-মাকে হারিয়ে দিবারাত্রি এই বাংলার মানুষের জন্য ভাবেন, কিভাবে দেশের মানুষ সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে, পেটভরে দুমুঠো ভাত খাবে, শান্তিতে ঘুমাবে। যে মানুষটি ষোল কোটি মানুষের বত্রিশ কোটি হাতকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে চায়। সেই মানুষটিকে হত্যা করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।

 

তিনি বিএনপি-জামাতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলার সকল শ্রেণীর মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যার পাশে আছে। আপনাদের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আগুন নিয়ে খেলা করবেন না, আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন না, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন। এই আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করতে করতেই আজকে এই জায়গায় এসেছে। ৭৫ ঘটিয়েছেন ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট ঘটিয়েছেন। ১৭ই আগস্ট সারা বাংলাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আপনাদের কোনো প্রচেষ্টাই সফল হয়নি ভবিষ্যতেও হবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। ওই ক্রোধের আগুনেই আপনারা পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

 

কারণ বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথে আছে। আমরা যুবলীগ, বাংলার যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ আমরা শপথ গ্রহণ করেছি। যে মানুষটি নিজের সুখ-শান্তির কথা ভুলে গিয়ে, যে মানুষটি নিজের দুইটি সন্তানের চিন্তা ভুলে গিয়ে ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং তিনি সফলতার সাথে দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়েছেন।

 

সেই মানুষটিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবেন, হত্যার হুমকি দিবেন আর আমরা যুবলীগ চুপচাপ বসে থাকবো, বাংলার যুবসমাজ বেঁচে থাকতে তা আপনাদের ভাবাও ভুল। কারণ বঙ্গবন্ধুকন্যার ভালোবাসার শিকড় অনেক গভীরে। এই শিখর উপরে ফেলার ক্ষমতা কোন বিদেশী প্রভুদের নাই। কারণ বাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে আছে। বাংলার যুবসমাজ সজাগ আছে।

 

বিএনপির সন্ত্রাসীরা গতকাল শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলে তারা বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়েছে, তারা পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, ১৯৭১ সালেও পাকিস্তানীরাও রাজারবাগে পুলিশের উপর হামলা করেছিল। আপনারাও বার বার পুলিশের উপর হামলা করেছেন। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, জনগণের জানমাল-সম্পদ রক্ষার্থে আমরা রাজপথে থেকে বিএনপি-জামাতের সকল সড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ জসিম মাতুব্বর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মোঃ মহিউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আবদুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা,

 

উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্য, সহ-সম্পাদক আবির মাহমুদ ইমরান, মোঃ আতাউর রহমান উজ্জল, মোঃ রাজু আহমেদ, মোঃ আলামিনুল হক আলামিন, মোঃ আবদুর রহমান জীবন, মোঃ বাবলুর রহমান বাবলু, হিমেলুর রহমান হিমেল, আহতাসামুল হাসান ভূইয়া রুমি, মোঃ মনিরুল ইসলাম আকাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মাতিন মুসাব্বির সাব্বির, মোঃ শহিদুল ইসলাম লাকি, ইঞ্জি. মোঃ মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষ, এবিএম আরিফ হোসেন, মোঃ ওলিদ হোসেন, বিকাশ চন্দ্র হাওলাদার,

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি, সোহরাব হোসেন স্বপন, আনোয়ার ইকবাল সান্টু, হারুনুর রশীদ হারুন, মোঃ কামাল উদ্দিন খান, আবু সাঈদ মোল্যা, দ্বীল মোহাম্মদ খোকা, সৈয়দ আহমেদ, মাহবুবুর রহমান পলাশ, মুরসালিন আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক জাফর আহমেদ রানা, মোঃ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক, মিজানুর রহমান বকুল, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, মোঃ মাকসুদুর রহমান, কাজী ইব্রাহিম খলিল মারুফ, প্রচার সম্পাদক আরমান হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক এমদাদ, অর্থ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ সায়মন, আইন সম্পাদক অ্যাড. শাহনাজ পারভীন হীরা,

 

পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক সৈয়দ মশিউর রহমান শুভ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোফরান গাজী, ধর্ম সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম খা, উপ-প্রচার সম্পাদক সুজা উদ্দিন আহমেদ হারুন, উপ-দপ্তর সম্পাদক খন্দকার আরিফ-উজ-জামান, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপ-মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ফালান, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম সহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।