সুরমা টাইমস ডেস্ক :
হাজার হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত। তাদের বেশিরভাগই নারী।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানায়।
গত ছয় মাসে ৩০ হাজারের বেশি ব্যক্তি কুয়েতের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। সরকারের পরিচালিত এক বিস্তৃত প্রশাসনিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্য দেশটির নাগরিকত্ব আইন ও বৈধ বসবাস সংক্রান্ত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
এমনই একজন কুয়েতি নাগরিক লামা। গত শুক্রবার ক্লাসে ঢোকার সময়ও তিনি জানতেন না যে কী ঘটতে চলেছে তার সঙ্গে।
ক্লাস থেকে বের হয়ে জানতে পারেন তিনি আর কুয়েতি নন। ক্রেডিট কার্ডের বিল দিতে গিয়ে দেখেন নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে তার। কারণ জন্মসূত্রে জর্ডানিয়ান লামা বিয়ে সূত্রে কুয়েতি হয়েছিলেন।
‘এটা এক কথায় ধাক্কা ছিল,’ বলেন লামা। তিনি বলেন, ‘২০ বছরের বেশি সময় আইন মেনে চলেছি, কর দিয়েছি, কুয়েতকে নিজের দেশ ভাবতাম।
হঠাৎ একদিন জানতে পারি, আমি আর এই দেশের নাগরিক নই। এটা কোনোভাবেই ঠিক না।’
আগস্ট ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৭ হাজার জনের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২৬ হাজারই নারী। বিশ্লেষকদের মতে, আসল সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
নাগরিকত্ব বাতিলের এই ঢেউ এসেছে কুয়েতের নতুন আমির শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহর ‘সংস্কারমূলক উদ্যোগ’র অংশ হিসেবে, যিনি ডিসেম্বর ২০২৩-এ ক্ষমতায় এসে পাঁচ মাসের মধ্যে সংসদ বাতিল করে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করেন।
চলতি বছরের মার্চে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমরা কুয়েতকে তার আসল মানুষদের কাছে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ অবস্থায় ফিরিয়ে দেবো।