সুরমা টাইমস ডেস্ক :
ফার্স্ট লেডি মেলানিয়াকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১১ই জুলাই) এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে নামেন এবং তারপর কেরভিল শহরে যাত্রা করেন।
সেখানে তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বন্যার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ছয়মাসের মধ্যে টেক্সাসের এই বন্যাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুর্যোগ।
এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার টানা ভারি বৃষ্টিতে নদীর পানি উপচে ওই অঞ্চলের বহু ঘরবাড়ি, সামার ক্যাম্পের শিশুরাসহ যানবাহন এবং আরো বহু মানুষ ভেসে যায়।
উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও সম্প্রতি জীবিত কাউকে উদ্ধারের খবর মেলেনি।
ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বন্যায় অধিকাংশ মৃত্যু ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে টেক্সাস হিলের কার কাউন্টিতে ও এর প্রশাসনিক কেন্দ্র কারভিল শহরে।
গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে গুয়াডালুপে নদী অববাহিকা এলাকায় সৃষ্ট হড়কা বানে ২৫ হাজার বাসিন্দার কারভিল শহর একটি দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়।
টেক্সাসে বন্যার পূর্বাভাস কতটুকু দেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল আগেই।
সমালোচকরা বলেছিলেন, আবহাওয়া বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ফেডারেল সংস্থাগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট কাটছাঁটের ফলে সতর্কতা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এ কারণে বন্যার আগে তেমন কোনো সতর্কতা ব্যবস্থা ছিল না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজ্য প্রশাসন থেকে অর্থ জোগাড় করতে না পেরে কার কাউন্টি বন্যার আগে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি।
তবে ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে আবার নতুন করে সতর্কতা ব্যবস্থা চালুর পদক্ষেপ সমর্থন করেছেন বলেই মনে হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও জরুরি বার্তা দেওয়ায় বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভের মধ্যে ট্রাম্প বলেন, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে কোনো ধরনের অ্যালার্ম বা সতর্কতা ব্যবস্থা চালু করা দরকার।
তবে তিনি এটাও বলেছেন, স্থানীয় কর্মকর্তারা হঠাৎ এই বিপর্যয়ে পড়েছেন। তারাও প্রস্তুত ছিলেন না।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কের কাউন্টি। এখানে কমপক্ষে ৯৬ জনের প্রাণ গেছে, যার মধ্যে ৩৬ জনই শিশু। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের কমপক্ষে ১৬১ জনের এখনও সন্ধান মেলেনি।
এ ছাড়া ট্রাভিস, বার্নেট, কেন্ডাল, উইলিয়ামসন এবং টম গ্রিন কাউন্টিতেও প্রাণহানির খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো।