সুরমা টাইমস ডেস্ক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ বছর আগের নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়ার জন্য আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
মামলার বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম রায়ের দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডডভোকেট হান্নান ভূইয়া এ তথ্য দিয়েছেন।
এর আগে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন একই আদালত।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের মধ্যে কেউ বেগম জিয়াকে অভিযুক্ত করে সাক্ষ্য দেননি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন।
কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে ‘অস্বচ্ছ’ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০১৮ সালের ৫ই মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
সেখানে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।
এরপর ২০২৩ সালের ১৯শে মার্চ খালেদা জিয়াসহ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন,
ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এদের মধ্যে কাশেম শরীফ, মীর মইনুল হক ও কামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।