সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট মহানগর আহ্বায়ক কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব।
পোস্টে তিনি বলেন, সিলেট মহানগর আহ্বায়ক কমিটিতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অনেক ভুল আসায় কমিটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সবকিছু সংশোধন করে পুনরায় কমিটি প্রকাশ করা হবে।
নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে বিভাগীয় প্রতিনিধিদের জানানোর পরামর্শও দিয়ে গালিব জানান, সংশোধনের পর পুনরায় কমিটি প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া সম্মিলিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সিলেট ও সম্মিলিত মেডিকেল কলেজ সিলেটের কমিটি গঠনের কাজ চলমান বলে জানা গেছে।
এই দুই ইউনিটে কাজ করতে আগ্রহীদের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (১৭ই ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগর কমিটি প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
কমিটির আহ্বায়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইনকে দেওয়া পদ নিয়ে বেশি বিতর্ক দেখা যায়।
এর আগে রোববার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইনকে আহ্বায়ক, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী তামিম আহমেদকে সদস্য সচিব, এমসি কলেজের শিক্ষার্থী হাসান আহমদ চৌধুরী মাজেদকে মুখ্য সংগঠক এবং মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ হোসেনকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছিল ১৯ জনকে। তারা হলেন- মাহফুজুর রহমান সাকের, লুৎফুর রহমান, ফাহিমা আক্তার, সায়মন সাদিক জুনেদ, মুহাম্মাদ বিজয় খান, মোহাম্মদ জিয়াদ উল ইসলাম, সালমা বেগম,
রুহুল আমিন, ফুয়াদ হাসান, তৈয়বুর রহমান তুহিন, আলি নেওয়াজ, মো. হালিম, আব্দুস ছামাদ সাদ্দাম, আতাহার আলী রাহাত, মো. জুবায়ের আহমদ, রেদোয়ান হোসেন শাওন, মো. জবরুল ইসলাম রায়হান ও শাহাবুদ্দিন খান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল রোববার সিলেট মহানগর শাখার এই আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেনন।