গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে এহিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত বৃত্তি ও অনুদান বিতরণ এবং শিক্ষক পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিকেল সাইন্সস এর ডিন প্রফেসর ডা.মোঃ জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে কাজ করলে জীবনের সফল হওয়া যায়। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে কঠোর সাধনা করতে হবে। এক সময় এ অঞ্চলের কৃতি সন্তানেরা অনেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন প্রজন্মকে পরিশ্রম করে হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি আরো বলেন আজকে যে কৃতি শিক্ষককে পদক দিয়ে সম্মানিত করা হলো আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তিনি একজন সফল শিক্ষক, গুণী শিক্ষক এবং অনেক শিক্ষকেরও শিক্ষক।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১ ঘটিকার সময় গোলাপগঞ্জ জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এহিয়া ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চৌধুরী বখতিয়ার এহিয়া রেহেলের সভাপতিত্বে ও ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি,শিক্ষক ও সাংবাদিক মাহফুজ আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তেলাওয়াত করে গোলাপগঞ্জে জামেয়ার শিক্ষার্থী মাজেদুল ইসলাম।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে লেখক,গবেষক ও মোটিভেশনাল স্পিকার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ড. শাহাদাত চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষক পদক প্রদান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুদান বিতরণ সত্যিই একটি মহৎ উদ্যোগ। এ ধরনের কাজের মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখা সম্ভব। একজন শিক্ষার্থীকে মনে রাখতে হবে বৃত্তি পাওয়া মাধ্যমে মেধাকে লালন করে ভবিষ্যৎ জীবনে এগিয়ে যেতে, সফল হতে হবে। তিনি গোলাপগঞ্জের অতীত ঐতিহ্যের কথা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে বলেন তোমাদের পরিশ্রমী হয়ে এ হারানোর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এহিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি,আজাদ চৌধুরী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক শাহেদ আহমদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন এহিয়া আহমদ চৌধুরী স্মৃতি শিক্ষক পদক প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষক জেসি একাডেমি এন্ড রিসোর্ট সেন্টারের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ চৌধুরী,গোলাপগঞ্জ জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল মোঃ তাজুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ জামেয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল জিন্নুর আহমদ চৌধুরী, ইসলামী ব্যাংক গোলাপগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ জামেয়া ইসলামিয়া স্কুলের প্রিন্সিপাল জামিল আহমদ,পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন, বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থী সুষ্মিতা দাস প্রান্তী, সাকিব হাসান, রাওদা চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা সভাশেষে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি বৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপজেলার চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি মসজিদে অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়া পাঁচটি মাদ্রাসার পাঁচ জন,১২ জন শিক্ষার্থীকে শামসুন্নাহার চৌধুরী শিক্ষা বৃত্তি এবং গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে আহত পাঁচজনকে অনুদান প্রদান করা হয়।