সোহেল আহমদ গোয়াইনঘাট থেকে : সিলেটের বিছনাকান্দি সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য। সেই রাজ্যের নিয়ন্ত্রক এখন স্থানীয় থানা পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক লেবাসধারী ব্যাক্তিবর্গ ও লাইনম্যানরা।
স্থানীয় সুত্র জানায়, গোয়াইনঘাট থানার ওসি,ম সার্কেল এসপি, বিট অফিসার ও দমদমিয়া বিজিবির ক্যাম্প কামান্ডারসহ কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিছনাকান্দি সীমান্তের ো বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে, বিজিবির নিয়োগকৃত লাইনম্যানরা প্রতি রাতে বিজিবির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে চালিয়ে যাচ্ছে চোরাচালান বানিজ্য । সুত্র জানায়,
সরকারের ট্যাক্স ফাকি দিয়ে উপজেলার ১৩ নং বিছনাকান্দী সীমান্তে, ৬১/৬২ নং পিলার এলাকায় উপর দমদমিয়া ও ভিতরগুল নামক স্থান দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতেছে, শতকোটি টাকার, গরু,মহিষ, চিনি,অস্ত্র , কক্সমাটিক্স, শীতের পোশাক, মাদক, বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন, মোটরসাইকেল ইত্যাদি মালামাল । এসব চোরাচালান সম্রাজ্যের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবির লাইনম্যান নামে পরিচিত চাঁদাবাজরা। মাফিয়া গ্যাং চক্রের সদস্যরা হলেন দমদমিয়া গ্রামের আয়নুল্লাহ মিয়ার পুত্র ইমরান আহমদ কালা(৩০), ছালাম মিয়ার পুত্র আবু সাইদ(৩৬), হান্নান মিয়ার পুত্র শাহ আলম সুরুজ (২৯), পাহাড়তলী গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র আবুল হোসেন (৪৫), নসু মিয়ার পুত্র খলিল মিয়া (৪৯)।
তারা বিজিবি লাইন পরিচালনা করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এলাকায় তাদের খুব প্রভাব, তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না, তাই দিন দিন চাঁদাবাজি বেড়েই চলছে তাদের, এলাকার স্থানীয় কেউ কিছু বললে তাদেরকে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি এমন কি প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়!
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান পরিচালনা করছে এবং তারা এলাকায় এতটাই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। কেউ অভিযোগ তুললে তাদেরকে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়, এমনকি প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়।
এদিকে সীমান্ত পাড়ীদিয়ে নিয়ে আসা গরু গুলো নিয়ে আসা হয় গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল বাজারে । তোয়াকুল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বিলাল মেম্বার এর মাধ্যমে তোয়াকুল গরু বাজার থেকে অবৈধ গরু গুলো বৈধ করে রশিদ প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত চোরাচালান সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচিত “লাইনম্যান” ইমরান আহমদ কালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে, চোরাচালান সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচিত “লাইনম্যান” শাহ আলম সুরোজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চাঁদা আমি একা নেই না। আমাদের সাথে সাঈদ, কালা, খলিল মিয়াও আছে। আমরা চুরি করি না, কর্ম করে খাই।
অভিযুক্ত চোরাচালান সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচিত “লাইনম্যান” আবু সাইদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এই বিষয়ে দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিজিবি চোরাচালান প্রতিরোধে সবসময় তৎপর। যদি কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার তোফায়েল আহমদের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।