সালুটির-হাদাপার চোরাচালানের নিরাপদ রোড : এসআই নুরের বাণিজ্য
সুরমা টাইমস ডেস্ক : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটির-হাদাপার রোড চোরাচালানকারীদের নিরাপদ রোড। এই রোড দিয়ে প্রকাশ্যে চোরাকারবারীরা নিরাপদের অবৈধ পণ্য নিয়ে সীমান্ত এলাকা থেকে সিলেট শহরে প্রবেশ করে। আর এই নিরাপদের পৌছে দেয়ার মাধ্যম হলেন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুজিবুর রহমানের অধিনস্ত এসআই নুর মিয়া। তিনি নিজে চোরাচালানকারীদের সাথে লেনদেন করে নিরাপদের অবৈধ পণ্য পাচারের সহযোগিতা করে থাকেন। নুর মিয়ার অনুপস্থিতে দায়িত্ব পালন করেন এসআই জহির।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চোরাকারবারী জানান, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায়। পরে এসআই নুর মিয়া সালুটির-হাদারপার লাইনে চোরাচালানের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর থেকে সবাই এই রোড দিয়ে সবাই চোরাই পণ্য পাচার করা শুরু করেছেন। এছাড়া এসআই নুর মিয়া বিছনাকান্দি থেকে লুট হওয়া শতকোটি টাকার পাথর পাচারের মূল হোতা হয়ে কাজ করছেন। প্রতি রাতে তিনি দুই হাজার টাকা প্রতি ট্রাক থেকে আদায় করে ট্রাক গুলো ধুপাগুল এলাকায় পৌছার ব্যবস্থা করে দিয়ে আসছেন।
নুর মিয়ার ছেড়ে দেওয়া ভারতীয় চোরাই পণ্য এসএমপির জালালাবাদ ও এয়ারপোর্ট থানায় আটক হয় ঠিকই। আটকের পর চোরাকারবারীরা নুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটা আমার থানা এলাকা নয়। এ সকল আমার দেখার বিষয় না। যদিও গত ৫ আগস্টের পর গোয়াইনঘাট থানার সকল পুলিশের বদলি হয়েছে কিন্তু এসআই নুর মিয়া এখনও বহাল তবিয়তে। সেই পুরানো সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করছেন এসআই নুর মিয়া ও তার সহযোগী এসআই জহির।
এসআই নুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘ আমি কিছুই জানি না। সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুজিবুর রহমান এসকল বিষয় ঢীল করেন। আপনি উনাকে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু একাধিক চোরাকারবারি জানিয়েছেন ইনচার্জ মুজিবুর রহমান যখন ঘুমিয়ে যান তখন এসআই নুর ও জহির মিলিয়ে গাড়ী পাস দেন।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার এলাকা দিয়ে কোন চোরাই পণ্যের গাড়ী যায় না। এসএমপি যে গাড়ীগুলো আটক করে সেই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।