ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর বেনজিরের বিরুদ্ধে মামলা
সুরমা টাইমস ডেস্ক :
জয়পুরহাটে ২০১৬ সালে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) হেফাজতে ক্রসফায়ার শাফিনুর ইসলাম শাফিনকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। গত সোমবার (২৮শে অক্টোবর) ক্রসফায়ারে নিহত শাফিনুর ইসলাম শফিনের বাবা জয়পুরহাটের সদর উপজেলার চকমোহন গ্রামের নজরুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন।
র্যাবের সাবেক ওই মহাপরিচালক বেনজির আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন- জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের মেজর হাসান আরাফাত, ডিএডি মো: ফিরোজ আলী খান, এসআই এনামুল হক, ডিএডি মাহফুজার রহমান, সদর থানার এসআই দেবাশীষ নন্দী, র্যাবের নায়েক হাবিবুর রহমান ও কনষ্টেবল মেহেদী হাসান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ২০১৬ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে তৎকালীন র্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা শাফিনুর ইসলাম শাফিনকে গ্রেফতার করে। এর একমাস পর ওই বছরের ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার দাদরা জন্দিগ্রামের হেলালের পরিত্যক্ত চাতালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হেলাল সাংবাদিকদের জানান, ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আদালত প্রথম ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ সুপারকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতকে অবহিত করার আদেশ দেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলামসহ প্রথম ৯ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান।
অন্য সাতজন হলেন—জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের মেজর হাসান আরাফাত, ডিএডি মো. ফিরোজ আলী খান, এসআই এনামুল হক, ডিএডি মাহফুজার রহমান, সদর থানার এসআই দেবাশীষ নন্দী, র্যাবের নায়েক হাবিবুর রহমান ও কনস্টেবল মেহেদী হাসান।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহাব মোবাইল ফোনে জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।