মণিপুরী নৃত্যের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিচয় শতবর্ষের আলোচিত একটি বিষয়

সুরমা টাইমস ডেস্কঃ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সিলেটের মাছিমপুরে পদার্পণের ১০৪তম বর্ষে স্মরণোৎসব, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহযোগিতায় গত সোমবার (০৬ই নভেম্বর) রাতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কবিগুরুর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে আন্দোলিত করে। তাঁর আগমণকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর বৃহৎ আকারের এই স্মরণোৎসবকে সাধুবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শামীমা চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেট আগমণের মাধ্যমে সিলেটে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিশাল বন্ধন দেখা গিয়েছিল, তা আজও বহমান। সর্ব ধর্ম, বর্ণ, সর্ব জাতের সংবর্ধণায় রবীন্দ্রনাথ মুগ্ধ হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মণিপুরী নৃত্যের সাথে পরিচয় শতবর্ষের আলোচিত একটি বিষয়। কবিগুরুর মাছিমপুরে আগমণের সূদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল।

মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুনীল সিংহ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শ্রী মণিসেনা সিংহ।

 

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি স্বপন কুমার সিংহ, জেলা কমিটির সভাপতি শ্রী নির্মল সিনহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ,

গোপীনাথ জিউর আখড়া ও রবীন্দ্রনাথ সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেন্দ্র সিংহ বাপ্পা, কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, বীরেন্দ্র সিংহ বীরু ও বিলাস সিংহ প্রমূখ।

সন্ধ্যা ৭টায় রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া উৎসবে সংগীত পরিবেশন করেন রানা কুমার সিনহা এবং নৃত্য পরিবেশন করেন মণিপুরী কালচারাল একাডেমির শিল্পী বন্যা সিনহা ও বিপাশা সিনহা।

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।