বিএনপির আন্দোলন ‘গরুর হাটে’ গিয়ে গুরুতর আহত: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির গণ-আন্দোলন গোপালগঞ্জের গরুর হাটে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের গতি দেখে ঘোড়াও হাসে, মানুষও হাসে। তারা এখন আহত অবস্থায় ভয়ে ভয়ে পদযাত্রার কথা বলছে। খবর নিয়ে দেখুন, কয়টা ইউনিয়নে এই পদযাত্রা হয়েছে। বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙের মতো। এতে কোনো ঢেউ নেই।’
শনিবার সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, দেশে একসঙ্গে একশ সেতু, কর্ণফুলি ট্যানেলসহ মহা উন্নয়ন যজ্ঞ দেখে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান অন্তর্জ্বালায় জ্বলছে। এখন স্বপ্ন দেখছে গণঅভ্যুত্থানের। বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার আসবে না।’
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমনের সঞ্চালনায় সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন আর ফখরুল নয়, চট্টগ্রামের আমির খসরু মাহমুদের কাছে লন্ডন থেকে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির সকল গোপন মেসেজ আসে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রাজপথে আছি। আপনারা তলে তলে কি করছেন সবই আমাদের জানা আছে। জঙ্গিবাদের আলামত আমরা পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘যে হাতে জনগণের যান-মালে আগুন দেবেন সেই হাত আমরা পুড়িয়ে দেবো। যে হাতে ভাঙচুর করবেন সেই হাত আমরা ভেঙে দেবো। সন্ত্রাসের কালো হাত আমরা গুড়িয়ে দেবোই। একজন পালিয়েছে বাকিরাও পালাবে। আওয়ামী লীগ পালায় না। বিএনপি বলে আমাদের মাটির তলায় মাটি নেই। নির্বাচনে আসেন প্রমাণ হবে, কার পায়ের তলায় মাটি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডাকি সমাবেশ, হয়ে যায় মহাসমাবেশ। বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ হয়ে যায় সমাবেশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুকিয়ে আছেন লন্ডনে। ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দারদের নিয়ে জোট করেন। রাজপথে আসুন খেলা হবে। খেলা হবে সামনা সামনি।’
তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। এসময় তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নুরুল হুদা মুকুট এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নোমান বখত পলিনের নাম ঘোষণা করেন।’
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলে দলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীদের পদচারণে পুরো এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য প্রদান করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি ও শামীমা আক্তার খানম এমপি প্রমুখ।