সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিলেট-১ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
গতকাল শুক্রবার (১১ই জুলাই) সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ জুম্মা মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের আরিফুল হক চৌধুরী বলেন- সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচনের জন্য আমি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছি।
বিশেষ করে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সিলেট ডিভিশনের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে উনাকে চাই।
তিনি যদি এ আসনে আসেন, তাহলে আমরা নগরবাসী তথা পুরো বিভাগের মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত হবো। আর উনি যদি কোনো কারণে আসতে না পারেন, তাহলে আমি সবার কাছে দোয়া চাই যে আমি ইজাজত নিয়েছি যে আমি কার্যক্রম শুরু করবো কি না।
আমাকে আমার এলাকার মুসল্লিয়ান, এই শহরের মুরব্বিয়ানরা আমাকে ইজাজত দিয়েছেন।
আমার দাবী হচ্ছে, সিলেট-১ আসনে আমার নেতা জনাব তারেক রহমান সাহেবকে আমার বিভাগের উন্নয়নের জন্য, আমার এই সিলেটের উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই সেক্রিফাইস করবো তিনি আমাদের মধ্যে আসুন।
আর আমি এই শহরের আপনাদের দীর্ঘদিনের সেবক হিসেবে ইজাজত নিয়েছি, আমি আজকে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার কার্যক্রম শুরু করলাম।
এসময় তিনি আরও বলেন, এই মসজিদে (ব্ন্দরবাজার কেন্দ্রীয় মসজিদ) আসার ও নামাজ পড়ার কারণ হচ্ছে, সিলেটের বেশিরভাগ মুরুব্বি এখানে এসে নামাজ আদায় করেন।
এছাড়া আমাদের মহান নেতা মরহুম এম সাইফুর মৃত্যুর আগের দিনও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।
এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক ও সিলেট জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সিলেটের উন্নয়ন এবং দলের অবস্থান সুদৃঢ় করতে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করবো। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি আমার ভূমিকা পালন করবো।’
মর্যাদাপূর্ণ আসন সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন ও সদর)। কথিত আছে; এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী জয়লাভ করেন সেই দল সরকার গঠন করে। এখন পর্যন্ত এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেনি।
১৯৯৬ সাল থেকে এ আসনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা সবাই ছিলেন ভিভিআইপি ব্যক্তি বা রাজনীতিবিদ। দুনিয়া জুড়ে তাদের খ্যাতি ছিল।
১৯৯৬ সালে এ আসনের এমপি হন খ্যাতিমান কূটনীতিক ও সাবেক স্পিকার হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। পরে ২০০১ সালে এমপি হন বিশ্বব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।
২০০৮ সালে এমপি হন খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০২৪ সালে এমপি হয়েছিলেন জাতিসংঘ মিশনে সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন। খ্যাতিমানদের আসন হওয়ায় এ আসনটি বরাবরই মর্যাদার।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।