স্টাফ রিপোর্টার::
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আকস্মিক অভিযানে টিকিট কালোবাজারি, নির্মাণ কাজে অনিয়ম, বিনা টেন্ডারে পুরনো রড বিক্রি ও যাত্রীসেবার সামগ্রী সরবরাহে বড় ধরনের দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে।
রেলের ‘কালো বিড়াল’ এর অধ্যায়ের কথা কমবেশি সবারই জানা। রেলে দুর্নীতি আর অনিয়মকে সেই থেকে রেলের ‘কালোবিড়াল’ নামেই অভিহিত করা হয়ে থাকে।
এসকল অভিযোগ তদন্তে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে একাধিক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে সেই কালো বিড়ালের সন্ধানে যায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পরিচালিত অভিযানে মিলেছে অনিয়মের প্রমাণ।
অভিযানে টিকিটের অতিরিক্ত দাম আদায়, পুরোনো রড নিলাম ছাড়াই বিক্রি, প্লাটফর্ম সংস্কারে অনিয়মসহ একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়েছেন দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার।
অভিযানে উঠে আসে, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য নির্ধারিত ১৪টি পণ্যের মধ্যে নিয়মিতভাবে শুধুমাত্র সাবান ও বদনা সরবরাহ করা হচ্ছে।
অথচ পুরো তালিকার পণ্য সরবরাহ দেখিয়ে প্রতিমাসে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বছরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
টিকিট কালোবাজারির বিষয়েও তদন্তে সত্যতা পেয়েছে দুদক। অভিযানে আজিজ নামের এক ব্যক্তি স্লিপার ক্লাসের টিকিটের জন্য ১২০০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ টাকা দাবি করেন, যিনি স্টেশনে গেট কিপারের দায়িত্বে রয়েছেন।
জুয়েল মজুমদার বলেন, ‘টিকিট থাকার কথা অনলাইনে। অথচ দালালরা সেগুলো কীভাবে নিজেদের কাছে রেখে দেয়, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
অভিযান শেষে দুদকের কর্মকর্তা জানান, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা অধিকতর তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।