সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিলেটের গোলাপগঞ্জের এখলাছপুর গ্রামে জমি নিয়ে সংঘর্ষের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ সহোদরসহ ৬জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে আপন ৩ সহোদর প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তাদের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
আসামীদের গ্রেপ্তারে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান ম্যোল্লা।
জানা যায়, গোলাপগঞ্জের এখলাছপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে খলিলুর রহমান ও একই গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে তাজ উদ্দিনের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
গত রোববার সকালে তাজ উদ্দিন তার পক্ষের শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জায়গা জোর দখল করতে গেলে খলিলুর রহমান তাদেরকে বাঁধা প্রদান করেন।
এসময় তাজ উদ্দিনের ধারালো কুড়ালের আঘাতে খলিলুর রহমান মাঠিতে লুঠিয়ে পড়েন। খলিলুর রহমানকে বাঁচাতে তার আপন ভাই ফখরুল ইসলাম ও মন্জুর আহমদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র ধারা মাথায় আঘাত করা হয়।
পরবর্তীতে তাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজন খলিলুর রহমানের বাড়িতে ও মুদি দোকানে হামলা করে লুঠপাট করে। তাদের আক্রমনে খলিলুর রহমানের স্ত্রীসহ বাড়ির ৩জন মহিলাও গুরুতর আহত হন।
তাজ উদ্দিনের পক্ষের লোকজনের আক্রমনে ও লুঠপাটে অর্ধ কোটির বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী খলিলুর রহমানের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন।
গোলপগঞ্জ মডেল থানা সূত্রে জানাযায়, খলিলুর রহমানের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০/৬০জনকে আসামী করে থানায় এজাহার দাখিল করেছেন।
মামলাটি ইতিমধ্যে থানায় রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছেন। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটে গেছে।
বর্তমানে পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চা চেষ্টা চালাচ্ছে।
মামলার আসামীরা হলেন, তাজ উদ্দিন, সাবুল মিয়া, আমির উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, মিছবাহ উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন, আলা উদ্দিন, আশিদ আলী, ফরিজ আলী, ওয়াহাব আলী, আজমত আলী, মনসুর আলী, ফরমুজ আলী, রাজু মিয়া, হবিব আলী, লোকমান মিয়া, মকবুল হোসেন, লিয়াকত আলী, ইয়াকুব আলী, জাবেদ আলী,
জহুর উদ্দিন, আব্দুল্লাহ মিয়া, নিমার আলী, আহমদ আলী, আব্দুল আহাদ, আব্দুল আলী, শেলি বেগম, নাছিমা বেগম, কাওছার মিয়া, কামরুল মিয়া, আওলাদ আলী, ফাহিম মিয়া, হোসাইন আহমদ, হাসান আহমদ,
খলিল মিয়া, সামিল মিয়া, হোসাইন আহমদ, ছালা উদ্দিন, ফরমান আলী, ছালিম উদ্দিন, নাছিমা বেগম, রেখা বেগম, জাবই মিয়া, জুনেদ আলী, হেলাল মিয়া, সুহেদ মিয়া, এমরান মিয়া, জামাল উদ্দিন, আবজল মিয়া,
আমিন আলী, সাইদুর রহমান, মুর্শেদ আলী, রহমত আলী, বশির আলী, জিয়া উদ্দিন, নানু মিয়া, দিলারা বেগম, খালেদ মিয়া, নাদই মিয়া, বশির উদ্দিন, পারভীন বেগম।