সুরমা টাইমস ডেস্ক :

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে সুজানগর ইউনিয়নের বাড্ডা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে হেলালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হেলাল সুজানগর ইউনিয়নের দশঘরি গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে।

সুজানগর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সাবুল আহমদ বলেন, সুজানগর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নোমান হোসেন হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে একই ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি হেলাল আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবল চন্দ্র সরকার গতকাল বুধবার দুপুরে বলেন, যুবদল নেতা নোমান হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকালে নোমান হত্যাকাণ্ডে হেলাল আহমদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

তদন্তেও প্রাথমিকভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় হেলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

জানা গেছে, যুবদল নেতা নোমান হোসেন আগর ব্যবসার ২০ হাজার টাকা পেতেন রায়হান আহমদ রেহানের কাছে। সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

গত ১৮ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড্ডা বাজারে মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ নোমানকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নোমান সুজানগর ইউনিয়নের রাঙ্গিনগর গ্রামের লেচু মিয়ার ছেলে।

এই ঘটনায় নিহতের বাবা লেচু মিয়া ২০শে জানুয়ারি বড়লেখা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় দশঘরি গ্রামের মারজান আহমদ, কালাইউরা গ্রামের রায়হান আহমদ রেহান, দশঘরি গ্রামের আবেদ আহমদ, নাঈম আহমদ ও জাকির আহমদের নাম উল্লেখসহ ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২ জানুয়ারি মারজান আহমদ ও রায়হান আহমদ রেহানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।

তাদের দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতেই যুবদল নেতা হেলাল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।