সুরমা টাইমস ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবিদা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে মানবাধিকার সংগঠন ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস।
গত সোমবার (১০ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।
ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি ছাত্রনেতা ছদরুল ইসলাম লোকমানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ই.আর.আই’র সহসভাপতি মো হাসনাত আল হাবিব, ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সিনিয়র সহ সভাপতি বেলাল খান, সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, শেরওয়ান আলী, নিরাপদ বাংলাদেশ চাইয়ের সহ সাধারণ সম্পাদক মো সাহাব উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আলম আহমেদ,
ষ্ট্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটসের সহ সাধারণ উজ্জল আলম চৌধুরী, ফজলে রাব্বি রিমন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, সিনিয়র সদস্য রুমেল আলি, সহ অর্থ সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনা ইসলাম তানিয়া, সদস্য সৈয়দ আশরাফুল আলম পিন্টু, জাকারিয়া আলি, রেজাউল করিম রাব্বি, মো ইউসুফ মিয়া ,আসরাফুল আলম,
আল আমিন মিয়া, রুমন আহমেদ, নাহিদ চৌধুরী, আমিন আকবর, জুনায়েদ আহমদ, আব্দুল আজীম, আরিফ হোসেন, আশরাফুল আলম শামীম, হোসাইন আহমদ,আব্দুল কাইয়ুম লায়েক, নাজমুল আহমদ,
মো. আব্দুল হক, আমিন কবির সোহাগ, লায়েক আহমদ, সাইফুর রহমান, আরিফ হোসেন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ছদরুল ইসলাম লোকমান বলেন, এই আবিদা ইসলাম ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী।
মেক্সিকোতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার থাকাকালীন সময়ে নিজ পকেট থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দূতাবাসের সামনে মুজিবের মূর্তি স্থাপন করেন যাতে করে তিনি আওয়ামী ও হাসিনার অনুগ্রহতা দেখাতে পারে এবং দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সহকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করতেন, আগষ্ট বিপ্লবের প্রথম সাপ্তাহে শেখ মুজিবের আত্মজীবনী বই ১০ লাখ টাকা খরচ করে কয়েক হাজার বই স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত করেন।
৫ আগষ্টের পরে তিনি অফিসে অনিয়মিত হয়ে পরেন এবং সরকারি সব কাজ বাসায় বসে করেন। আবিদা ইসলামকে ব্রিটেনে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন তার এক সময়ে বয়ফ্রেন্ড মাহবুব হাসান সালেহ।
তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতা ছিলেন, এই সালেহ আবার বর্তমান উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের বন্ধু তারা একসাথে কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে কাজ করেছেন।
সালেহ তৌহিদ হোসেনকে তদবির করে তার বান্ধবী আবিদা ইসলামকে লন্ডনে পোস্টিং করিয়ে দেন। সালেহ এবং আবিদা ইসলাম মিলে শেখ হাসিনাকে লন্ডনে আশ্রয় পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এজন্য আমরা আবিদা ইসলামের পদত্যাগ দাবি করছি।
মানবন্ধনের শুরুতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিনহাজুল আবেদীন রাজা বলেন বিগত ১৭ বছর আমরা স্বৈরাচার তথা হাসিনা বিরোধী আন্দোলন করেছি এবং আমদের অনেক ভাইয়ের জীবন আর রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতন হয়েছে কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো সত্য বর্তমান সরকারের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রশাসন তথা সরকারের সেটাপ গত আওয়ামীলীগ সরকারের রয়ে গেছে,
তারই তধারাবাহিকতায় বর্তমান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেখ হাসিনাকালীন সময়ে শেখ হাসিনার পায়ে ধরে সালাম করে চাকরি পাওয়া আবিদা ইসলামকে লন্ডনস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিয়োগ দিয়েছেন শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা আবিদা ইসলামকে যিনি শেখ হাসিনার পারপাস সার্ভ করবেন বলে আমরা মনে করি, আমরা তার প্রত্যাহার চাই।
যদি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকমিশনার আবিদা ইসলামকে প্রত্যাহার না করা হয় সকল মানবাধিকার সংগঠন নিয়ে কঠোর আন্দোলন দেয়া হবে এবং তখন আবিদা ইসলাম সেখ হাসিনার মতো পালাতে বাধ্য হবে, আর তা নাহলে আমরা প্রবাসীরা বর্তমান বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।
তিনি আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন বর্তমান সরকারের পুলিশ গত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের যে সকল নেতাকর্মী রাজপথে আন্দোলন করেছিল তাদেরকে নিয়ে যৌথবাহিনী অপারেশনের নামে মেরে ফেলছে যেটা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং বাংলাদেশের যতদিন একটি সুষ্ঠু নির্বাচিত সরকার আসবে না ততদিন এগুলো চলমান থাকতে পারে তাই অভিলম্বে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের দাবি জানান।