নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের আল-হামরা শপিং সিটির ৪র্থ তলার নুরানী জুয়েলার্স থেকে লুন্ঠিত ২৫০ ভরি স্বর্ণের কিয়দংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গত ৯ই জানুয়ারি সিলেট নগরীর আল হামরা বিপণিবিতানের চতুর্থ তলার নূরানী জুয়েলার্স নামের একটি দোকানের তালা ভেঙে সোনা চুরির ঘটনা ঘটে।
মালিকপক্ষের দাবি, এ ঘটনায় তাদের ২৫০ ভরি সোনা খোয়া গেছে। পরে এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা করেন।
গত সোমবার (৩রা ফেব্রুয়ারি) কতোয়ালি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধার ও এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে ৩১শে জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন কামাল্ল্যা ইউনিয়নের নেয়ামতপুর এলাকা থেকে ওছেক মিয়া ওরফে ওয়াছেক ওরফে আলমগীর (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি এ চুরির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালী মডেল থানার স্পেশাল টিম গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নূরানী জুয়েলার্স চুরি হওয়া স্বর্ণালংকারের জব্দ তালিকা জব্দ করেন।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে নিয়ে তার দেখানো মতে ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ১লা ফেব্রুয়ারি বিকেলে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানাধীন হোমনা বাজার হতে আল-হামরা মার্কেটে সংঘটিত চুরির ঘটনায় চোরাই স্বর্ণসহ সোহেল দেবনাথ (৪২), মো. আবুল হোসেন (৫৩) নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতারকৃত ৩ আসামির কাছ থেকে ৫ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে কুমিল্লা থেকে চুরি যাওয়া ৬ ভরি স্বর্ণসহ ৩ চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
এই ঘটনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ই জানুয়ারি রাত ৯টা হতে ৯ই জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে জিন্দাবাজার আল-হামরা শপিং সিটির ৪র্থ তলার নূরানী জুয়েলার্সে দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়।
চোরেরা দোকান থেকে ২৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় বলে দাবি করেন জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী দেওয়ান জাভেদ চৌধুরী।