সিসিক নির্বাচন : ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক::
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯০টির মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। কেন্দ্রগুলোতে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ৯৫ টি। সবগুলো কেন্দ্রেই থাকছে সিসি ক্যামেরা। ঢাকা থেকে সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের করা এবারের তালিকা অনুযায়ী ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১৫, ২২, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪২ নম্বর
(মোট ১৮টি) ওয়ার্ডের সব ভোটকেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়াও কিছু ওয়ার্ডের এক বা একাধিক কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম নবগঠিত ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিমুক্ত বা সাধারণ।
আগামী বুধবার সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী, নগরে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন।
মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষ রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪টি।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে ‘সাধারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কেন্দ্রে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকা, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা, যোগাযোগ বিড়ম্বিত কেন্দ্র, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কাসহ নানা দিক বিবেচনা করে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদিপ দাস জানান, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫৮টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিচারে নেওয়া বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। দূরবর্তী অনেক কেন্দ্র রয়েছে, কিছু কেন্দ্রের আশেপাশের পরিবেশ নিরাপদ নয়, কিছু কেন্দ্রে গোলযোগের সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা ১৩২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ওই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশি কম নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রগুলোর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে নির্বাচন কমিশন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা নেয়া হবে।