জৈন্তাপুরে জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে চোরাই পথে আসা গরু-মহিষ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে চোরাই পথে ভারত থেকে আনা গরু ও মহিষ। প্রতিদিন শ’শ গরু মহিষ মাঠের ফসল মাড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে করে জৈন্তাপুরের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ইউনিয়নের ৬ জন জনপ্রতিনিধি সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগদাতারা হলেন- ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাজু সিংহ, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুস সালাম, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল কাদির, ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজির আহমদ, ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন উর রশীদ সরকার ও মেম্বার আব্দুল হালিম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর দেওয়া লিখিত অভিযোগে তারা জানিয়েছেন- জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষকরা জমিতে রবিশষ্য, আমন, বোরো, ইরিপ্রকল্প চালুর মাধ্যমে ফসল ফলিয়ে থাকেন। কিন্তু কয়েক বছর ধরে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে গরু-মহিষ এনে অন্তত ২০টি এলাকার ফসলি জমির উপর দিয়ে নিয়ে যায়। নিষেধ করা হলে ওই সব ব্যবসায়ীরা গালিগালাজ সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইউএনওকে অনুরোধ করে তারা।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন- ভারত থেকে ১নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর, মোকামপুঞ্জি, ২নং ওয়ার্ডের খড়মপুর ও ৫ নং ওয়ার্ডের মিনাটিলা দিয়ে গরু মহিষ রাতের আধারে নামানো হয়। এবং চোরাকারবারিরা এসব পশু রাস্তা দিয়ে না নিয়ে তারা কৃষকের ফসলের মাঠের উপর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দরবস্তে নেয়। এতে করে লক্ষীপুর-১, লক্ষীপুর-২, খারুবিল, ডুলটিকরপাড়, চাতলাপাড়, বাওন সহ অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষের ফসল নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন- পশু ব্যবসায়ীদের বার বার এ ব্যাপারে আপত্তি দেওয়ার পরও তারা মানেননি। রাতের আঁধারে তারা ফসলের উপর দিয়ে গরু মহিষ নিয়ে যায়। এতে করে অন্তত আড়াই হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি জানান- চলতি ইরি ও বোরো মৌসুমে কৃষকরা গভীর নলকূপ দিয়ে পানি সেচে ফসল চাষ করছেন। এই ফসল নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিরা ইউএনওকে অবগত করেছেন।