অবাধে অতিথি পাখি অভিনব পন্থায় শিকার !
গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট যা বাংলাদেশের মিঠাপানি সুন্দরবন নামে পরিচিত। এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর। একে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও ৩১ মে ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসবে ঘোষণা করা হয়।
সারা বছরেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের দেখা মিলে,বিশেষ করে শীতে বেশি দেখা মিলে অতিথি পাখিদের। সকালে আশেপাশে বিলগুলোতে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে পাখিরা। পাখি শিকারিরা বিভিন্ন ফাঁদ পেতে ও বিষ প্রয়োগ করে অতিথি ও দেশীয় পাখি নির্বিচারে শিকার করে।
খবর পেয়ে সরজমিনে কালীজুড়ী বিলে গেলে দেখা যায় বেশ কিছু অতিথি হাঁস পাখি মরে বিলের পানিতে ভাসতে। এসময় রাতারগুল ও লক্ষীনগর বিট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ ফোন করলে তিনি বেশ কয়েক জন সহ বিল আসেন এবং মৃত হাঁস গুলি জব্দ করেন।
অনুসন্ধানে ও এলাকাবাসী সাথে কথা বলে জানা যায় অনেক দিন ধরে নিরাপদ ভাবে পাখি শিকার করে যাচ্ছেন ডৌবাড়ি ইউনিয়নের হাতিরকান্দি গ্রামের মৃত জমির মিস্ত্রী ছেলে ফরিদ উদ্দিন,হাসন রাজার ছেলে মুসা মিয়া এদের নেতৃত্বেই নির্বিঘ্নে চলে পাখি শিকার।
৩/৪দিন আগে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট অনুমানিক হাফ কিঃ দূরে উত্তর-পূর্ব দিকে কালীজুরী বিলে দিনে বেলায় পাখি শিকারের জন্য বিল পাড়ে ধানের সঙ্গে বিষ জাতীয়(পটাশ) ব্যাবহার করলে, আবুল কালামের হাঁস বিলে নিয়ে গেলে পাখির জন্য ফাঁদ পেতে রাখা বিষ খেয়ে বেশ কিছু হাঁস মারা যায়, পরে এলাকার মুরুব্বীদের সালিশি বৈঠক করে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান পাখি শিকারী ফরিদ উদ্দিন ও মুসা মিয়া।
রাতারগুল ও লক্ষীনগর বিট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ জানান পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
অনেক সময় গ্রামের হাট বাজার গুলোতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে পাখি মুক্ত করেন, বিক্রেতাদেরকে অর্থদণ্ড করতে দেখা যায়।