নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে ফেন্সি সম্রাট কোম্পানিগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ও তার সহযোগী শাহীনকে ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে র্যাব-৯। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৪৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বতুমারা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ধনু মিয়ার ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন (৩৫) এবং বরম সিদ্দিপুর গ্রামের মোঃ আসাদুল হকের ছেলে মোঃ শাহীন আহমদ (২৭)।
গত শুক্রবার (২রা মে) দুপুরে সিলেট র্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে গত ২রা মে আনুমানিক ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম ইসলামপুর এলাকা থেকে ০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২৪৯ বোতল ফেন্সিডিল, ও মাদক সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব সুত্র আরও জানান, আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়, জব্দকৃত মাদকসামগ্রী ও অন্যান্য জিনিসপত্র কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে সিলেটে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
উল্যেখ্য সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বতুমারা নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত ধনু মিয়ার ছেলে মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া (৩৫),এলাকার কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারী,বিগত দেড় বছরের মাথায় এই আলাউদ্দিন মিয়া একমাত্র মাদক ব্যাবসা করে রাতারাতি হয়ে গেছেন কয়েক কোটি টাকার মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানাজায় মাত্র দেড় বছর আগেও পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছে আলাউদ্দিন মিয়াকে ।
কিন্তু মাদক ব্যাবসায় জড়িয়ে এখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। তার একটি বাসা নির্মানেই তিনি খরছ করেছেন প্রায় কোটি টাকার উপর।
তাছাড়াও দুই থেকে তিনিটি ট্রাক রয়েছে তার, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাদক পরিবহনে ব্যাবহার করা হয়।
ট্রাকের উপর বালু বা পাথর দিয়ে গাড়ী লোডকরে তার নিচে ভারতীয় ফেন্সিডিলের চালান তিনি সিলেট থেকে ঢাকায় পাঠান, তাছাড়াও তার রয়েছে রড সিমেন্টের প্রায় দুই কোটি টাকার ব্যাবসা।
যা তিনি অর্জন করেছেন একমাত্র মাদক ব্যাবসার আশীর্বাদে। প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানাজায় কোম্পানিগঞ্জ থেকে বড় বড় মাদকের চালান কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসিকে ম্যানেজ করে সপ্তাহে দুই দিন বাদে বাকী পাঁচ দিনই বালু পাথরবাহী গাড়ি দিয়ে ঢাকায় পাঠাতেন আলাউদ্দিন মিয়া ।