নবীগঞ্জের বিজনা নদী থেকে এক্সকেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে সিন্ডিকেট চক্র

স্টাফ রিপোর্টার,নবীগঞ্জ থেকেঃ
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শেরপরাজপুর গ্রামের বাসিন্দাগণ ঐতিহ্যবাহী খরস্রোতা বিজনা নদীর ভারসাম্য রক্ষার্থে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ১৫ এপ্রিল  একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷
অভিযোগ বিবরনে জানাযায়, উপজেলার শেরপরাজপুর  গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বিজনা নদী,এই নদীর তীরে শেরপরাজপুর গ্রামের  অসংখ্য পরিবারের ঘর-বাড়ি রয়েছে। এই নদীর পানি ব্যবহার করে গ্রামের কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বালু খেকো  দুদু মিয়া, পিতা: সাজিদ মিয়া, গ্রাম: সদরঘাট ও সাইদুল, পিতা: আব্দুল সালাম, গ্রাম: সদরঘাট নামের কিছু অসাধু ব্যক্তি মাটি ব্যবসায়ীগন লুকিয়ে রাতের আধারে  বিজনা নদী থেকে এক্সেকেভেটর মেশিন  দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করে আসছেন।
তাই গ্রামবাসী আপত্তি দিলে তারা আর কখনোই মাটি উত্তোলন করবেনা মর্মে অঙ্গীকার করে। কিন্তু  তাদের আপত্তি না মেনে পুনরায় এক্সকেভেটর ( ড্রেজার)  মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করছেন।
এতে নদীর ভারসাম্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং নদীর উভয় পাড়ের মাটি, বাড়ি-ঘর ও গাছপালা নদী গর্ভে  বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এতে গ্রামবাসী  অনেকেই ভবিষ্যতে গৃহহীন হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ প্রতিবছর বিজনা নদীর পানি বড় সেচের মেশিনের মাধ্যমে শুকিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়, এবং এলাকায় স্থানীয় মানুষ উক্ত নদীতে মাছ ধরতে গেলে বা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে গেলে ঐ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।
গ্রামের অসহায় মানুষজন তা মুখ বুঝে সহ্য করে চলেন। তাই নদীর তীরবর্তী অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষার্থে  ও নদীর ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসী৷

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।