সুরমা টাইমস ডেস্ক :
একদিন আগেও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ শেয়ার বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু গতকাল শুক্রবার সকালে এসব শেয়ারবাজার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে শুধু তাইওয়ান লাভের মুখ দেখেছে।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরও বলা হয়, ইউরেশিয়া গ্রুপ কনসালটেন্সির ড্যান ওয়াং বলেন, শুল্ক আলোচনার অগ্রগতি খুব কম হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা দেখা দিয়েছে।
এটা সম্ভবত কয়েকদিন এভাবেই থাকবে। বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সমাধান সংস্থা সিমকর্পের অলিভিয়ার ডি’অ্যাসিয়ার বলেন, অনিশ্চয়তাই এই পদক্ষেপের মূল কারণ।
তিনি বলেন, কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি এবং বিশ্বের বৃহত্তম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক অপূরণীয়ভাবে ভেঙে গেছে। এর অর্থ হলো চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, বিশেষ করে এশিয়ার মধ্যে বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নিক ম্যারো বলেন, উচ্চ শুল্ক স্থগিত হওয়ার পর অনেক এশীয় বিনিয়োগকারী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কিন্তু তারা জানে এ কাহিনীর এখনও শেষ হয়নি। তারা জানে যে খুব বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
তারা জানেন একদিন এই অনিশ্চয়তা আবার জেগে উঠতে পারে। এই শুল্কের ভয় পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এটি বেশ কিছুদিন ধরে মানুষকে খুব উদ্বিগ্ন রাখবে।
আজ শুক্রবার এশিয়ার বাজারগুলোতে কীভাবে লেনদেন হচ্ছে তা দেখে নেওয়া যাক। বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ার পতনের পর বেশিরভাগ বাজারই নিম্নমুখী হয়েছে।
তার মধ্যে নিক্কেই ২২৫ (জাপান) -৪.৫%। অর্থাৎ এ বাজারের পতন হয়েছে শতকরা ৪.৫ ভাগ। হ্যাং সেং (হংকং) -০.৭%। অর্থাৎ এই বাজারের পতন হয়েছে শতকরা ০.৭ ভাগ। এএসএক্স ২০০ (অস্ট্রেলিয়া) -১.৬%। এর অর্থ এই বাজারের পতন হয়েছে শতকরা ১.৬ ভাগ। তবে সামান্য লাভ দেখা যাচ্ছে চীন ও তাইওয়ানে।
সাংহাই কম্পোজিট (চীন) +০.১%। অর্থাৎ এর বৃদ্ধি ঘটেছে শতকরা ০.১ ভাগ। অন্যদিকে তাইয়েক্স (তাইওয়ান)-এর বৃদ্ধি ঘটেছে শতকরা ০.২ ভাগ।