বিশেষ প্রতিনিধি : সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন (ইসিও) এলাকা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে খাবলে খাচ্ছে বিএনপির কয়েকজন নেতা নিরব ভুমিকায় প্রশাসন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। গুটিকয়েক অসাধু পাথর খেকোর কারণে জাফলং হারাচ্ছে অপরূপ সুন্দর্য। পরিবেশ ও পর্যটনকেন্দ্র রক্ষায় দীর্ঘদিন থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধের সুযোগে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহপরান ও স্বপন একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অবৈধ ভাবে পাথর-বালু উত্তোলন করছে বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। গত আগস্ট মাসে এ সিন্ডিকেট অন্তত দেড়শ থেকে দুইশ কোটি টাকার পাথর লুটের পর বর্তমানে অবাধে বালু ও পাথর উত্তোলন করছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার বারকি নৌকা দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা থেকে শত কোটি টাকার বালু উত্তোলন করার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে জাফলং। শুধু তাই নয়, এইসব উত্তোলিত পাথর-বালু বহনকারী গাড়ি থেকেও দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাদাঁ আদায় করছে বিএনপি নামধারী এই চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট। রহস্যজনক কারণে এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে এরা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। তবে স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যনেজ করে জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলন স্বপন-শাহপরান সিন্ডিকেট। যার জন্য পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নিয়মিত ডিউটি পালন করলেও তারা কোন বাধা প্রধান করছে না। শুধু পুলিশ-প্রশাসন নয় এ তালিকায় রয়েছেন কিছু সাংবাদিক ও রাজনৈতিক লেবাসধারী পাতিনেতাসহ দরবেশ বাবারা। সুত্র মতে , এই সিন্ডিকেটের প্রধান হলেন বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন। তিনি গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই জাফলং কোয়ারী এলাকায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তার বলয়ে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান। পরে এই পাথর লুটপাটের অভিযোগে বিএনপি নেতা শাহপরানের দলীয় পদ স্থগীত করা হয়। জাফলং এলাকায় বিএনপি নেতা শাহপরান ও স্বপন রাম-রাজত্ব তৈরি করেছেন। আর তাদের অপরাধ স¤্ররাজ্যের মুকুটহীন স¤্রাট সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী উরফে দরবেশ বাবা । এই বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা দরবেশ বাবার ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় এমন প্রভাব ও প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকেন। স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে, দরবেশ বাবার আস্থাভাজন দুই সেনাপতি স্বপন ও রফিকুল ইসলাম শাহপরান মিলে গোটা জাফলং এলাকা খাবলে খাচ্ছে। তবে প্রায় মাস খানেক আগে একটি দায়সাড়া অভিযান পরিচালনা করছিলেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম। এরপর থেকে তিনিও কোটি টাকা নিয়ে নিরবে গোয়াইনঘাট ছেড়ে চলে গেছেন। অজানা কারনে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) এসিল্যান্ড দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন। জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালুপাথর উত্তোলনে জড়িত বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও পদ স্থগিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন , বিএনপি থেকে বহিস্কিৃত রফিকুল ইসলাম শাহপরান , সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরী, জাফলং বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ট্রাক ড্রাইভার সমিতির সভাপতির নেতৃত্বে প্রতিদিন কোটি-কোটি টাকার বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। আর এই চক্রের জন্যই নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। চক্রটি পাথর উঠানোর প্রতি শেইভ মেশিন থেকে ২৫০০ টাকা, আর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রয়্যালটি ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিদিন নদীর পাড় থেকে ৫০০ ফুট বালু পরিবহনে ব্যবহৃত ২০০ থেকে ৩০০টি ড্রাম ট্রাক থেকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা তুলছে। সরকার পতনের পর জাফলং থেকে অন্তত ২০০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ হাজার বারকি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। বারকি শ্রমিকেরা প্রতি ঘনফুট বালু ১০ টাকা করে নদীর পাড়ে বিক্রি করেন। আর ব্যবসায়ীরা সেই বালু কিনে নিজেদের সাইটে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন ১৭ থেকে ২০ বা ২২ টাকা করে প্রতিফুট।’
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা ও সিলেটের পরিবেশ আদালতে অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ ২২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। দুই মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১১৪ জনকে। এর মধ্যে আসামি করা হয়েছে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় পদ স্থগিত হওয়া সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ এবং বহিস্কৃত সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপনকে। একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানিয়েছেন এই দুই নেতাই বালুপাথর লুটকারি চক্রের মূলহোতা। আর তাদের সঙ্গে আছেন জাফলং বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ট্রাক ড্রাইভার সমিতির সভাপতি। মামলার হওয়ার পরও বালু লুটের গতি আরও বেড়েছে।
বালুরচর দখল রাতভর অস্ত্রের মহড়া দেখেছে জাফলংবাসী। এঘটনায় জাফলংয়ে পাথর খেকো লুটপাটকারী শাহ আলম স্বপন ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী। অভিযোগ দায়েরের ১২ দিন বেশী সময় অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করেনি গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়- মামলার আসামীগণ ইউসুফ আলীর মালিকানাধীন বালুরচর দখল করতে যান। বাদী এতে বাঁধা দিলে আসামীরা বাদী সহ তার আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করেন। এ ঘটনার পর দিন মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত ২টার দিকে স্বপন বাহিনী পুনরায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বাদি পক্ষের উপর সশস্ত্র হামলা করে। এতে পুরো জাফলংজুড়ে নগদ ৩ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্নালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
শুধু এই একটি ঘটনাই নয়, স্বপন বাহিনী প্রতিদিনই জাফলং এলাকায় এই নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আর কেউ মুখ খুললেই তার উপর চলে অমানষিক নির্যতন। এই ভয়ে কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করেনি।
তাছাড়া পাথর উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন বাহিনী। তাদের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে হতবাক স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। একজন বহিস্কৃত ব্যক্তি কি করে এতো ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খাবলে নিচ্ছে পর্যটন এলাকাটি।
একাধিক সুত্র জানায়, জাফলং কোয়ারী এলাকায় খাবলে খাওয়ার মাষ্টারমাইনড ও স্বপনবাহিনীর গডফাদার গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপিতে আওমীলীগের প্রকৃত দালাল, আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নেরনের সূর্য সন্তান, উত্তর সিলেটের গ্রেট ক্রিমিনাল ও দরবেশ বাবা নামে যার পরিচয় তিনি হচ্ছেন বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী। গুনধর এ নেতার আর্শীবাদ পুষ্ঠ হওয়ায় স্বপন সিন্ডিকেট র্নিবিঘেœ জাফলং এ ধ্বংসলীলা ও চাদাঁবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় একাধিকজন জানান, স্বপন বাহিনীর এসব কর্মকান্ডে পুলিশের তেমন মাথা ব্যথা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনসার নিয়োগ দিয়ে পর্যটন এলাকা রক্ষার বৃথা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অভিযোগ আছে, ৩নং পূর্বজাফলং পুলিশের বিট অফিসার জহুর লাল, সবই দেখছেন, টাকার ভাগও নিচ্ছেন। তাই এসব ওসির কানে দিতে অনিহা তার। সকাল হতেই তিনি ব্যস্থ হয়ে পড়েন সীমান্তের চোরাচালান থেকে চাঁদা আদায়ে।
ইউসুফ আলীর মামলা রেকর্ড না হওয়া নেপথ্যের কারণ হচ্ছে এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে লুটপাটের মূলহোতা শাহ আলম স্বপনকে। তিনি ছিলেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। সেই সুবাদে পুলিশ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করছে না বলে দাবি করেছেন মামলার বাদি। এই মামলায় অন্যান্য আসামি হলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান হেলয়ার, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইউসুফ আহমদ, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিস্কৃত সভাপতি আজির উদ্দিন সহ একদল সন্ত্রাসী।
জাফলংয়ের এক পাথর ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান,‘বর্তমান সময়ের বিএনপির এই চাদাঁবাজ সিন্ডিকেটের চেয়ে ভালো ছিলো আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজরা। আগে আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজদের ১৩শ টাকা করে দিয়ে গাড়ি পাস করছি। এখন বিএনপির স্বপন সিন্ডিকেটকে ২৫শ টাকা করে দিতে হয়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভাবছিলাম পাথর কোয়ারীতে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে। কিন্ত না এখন চাঁদাবাজির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জাফলং বল্লাঘাট বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর সীমানার পাশের্^ পরিবেশ অধিদপ্তরের আশ্বাসে ফেলুডার দিয়ে গর্ত করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপন চক্রের বিরুদ্ধে। এতে জাফলং হারাচ্ছে অপরূপ সুন্দর্য। হাতিয়ে নিচ্ছেন দৈনিক লাখ লাখ টাকা। এই চক্রের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। জোর পূর্বক মানুষের জমি থেকে যন্ত্রদানব ব্যবহার করে উত্তোলন করছেন পাথর। পরিবেশের শাপাপাশি হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের ঘর-বাড়ি ও সরকারি স্থাপনা।
এই চক্রটি জোর পূর্বক পাথর উত্তোলনের পাশাপাশি নিরীহ মানুষের জায়গা দখলে নিচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে পাথর উত্তোলন করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন এবং পাথর বোঝাই গাড়ি থেকে ২৫শ-৩ হাজার টাকা করে আদায় করছেন এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে জানা গেছে, বল্লাপুঞ্জি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেষা মরিয়ম রেস্টোরেন্টের পূর্ব পাশে স্বপনের নেতৃত্বে ফেলুডার দিয়ে মাটি কেটে বড় বড় গর্ত করে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে স্থানীয় এলাকার আব্দুর রহিম মাস্টারের দুই ছেলে মানিক মিয়া এবং ইসরাত মিয়া। পাথর উত্তোলনের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে বল্লাঘাট পর্যটনকেন্দ্রের দোকানপাট, বল্লাপুঞ্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা।
এদিকে অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মানিক মিয়া বলেন, ‘আমাদের রেকডীয় জমি থেকে পাথর উত্তোলন করছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে আমাদের সমবোঝতা হয়েছে। উনি আশ্বাস দিয়েছেন তাই পাথর উত্তোলন করছি।’
জাফলং জুড়ে চাঁদাবাজি ও অবৈধ পাথর উত্তোলনের বিষয়ে জানতে স্বপন সিন্ডিকেটের প্রধান বহিস্কৃত বিএনপি নেতা শাহ আলম স্বপনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বিকার করেন।
এ ব্যাপারে স্বপনবাহিনীর গডফাদার বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম চৌধুরী মাবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি অস্বিকার করেন।
এ ব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা জানান, তিনি অবৈধ পাথর উত্তোলনের জন্য কাউকে আশ্বাস দেননি এবং এ বিষয়ে কারও সঙ্গে সমবোঝতাও হয়নি। অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংশের অভিযোগে মামলা প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানান, গত ৫ আগষ্টের পর প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের পাথর কোয়ারীতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে শোনেছি। ইতোমধ্যে পাথর লুটপাটে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্ব স্ব থানায় মামলা হয়েছে।