সুরমা টাইমস ডেস্ক :
পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন ওরফে শেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক। ভারতীয় আধার কার্ডে তিনি বনে গেছেন বিধান মল্লিক।
তার বাবার নাম শেখ আবু নাছের হলেও নতুন পরিচয়ে বাবা এখন মুদিন্দ্রনাথ মল্লিক। নতুন পরিচয়ে চষে বেড়াচ্ছেন ভারতের এপাশ থেকে ওপাশ।
বাংলাদেশের সাবেক প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজার এমন কাণ্ডে রীতিমতো কপালে চোখ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
রীতিমতো বিব্রতবোধ করছে দেশের সচেতন মহল। বলছে, শেখ পরিবারের এমন প্রভাবশালী সদস্যের এমন কাজ করাটা কোনোভাবেই মানায়নি। তবে শুধু শেখ জুয়েল নন।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, শেখ জুয়েল এখন বিধান মল্লিক। হাসিনার চাচাতো ভাই নিয়েছেন ভারতের নাগরিকত্ব।
মূল ফেসবুক পোস্টটি ছিল, বাংলাদেশের মেক্সিকোসহ উত্তর আমেরিকার সাতটি দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর।
তিনি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর শেয়ার করে লিখেছেন, “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, পিতার” উত্তরাধিকার শেখ পরিবারের কি একটা অবস্থা!
মূল খবরটি ছিল একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের,
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশের অন্যতম প্রভাবশালী শেখ পরিবারের অনেক সদস্যই বর্তমানে ভারতীয় আধার কার্ড গ্রহণ করেছেন। শেখ জুয়েলের ভারতীয় আধার কার্ডের একটি কপি ইতোমধ্যে এসে পৌঁছেছে।
২০১৮ সালে খুলনা-২ সংসদীয় আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শেখ সালাহউদ্দিন। ২০২৪ সালেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
কাগজপত্রে তিনি শেখ সালাহউদ্দিন হলেও সর্বত্র তিনি সেখ জুয়েল নামেই বেশি পরিচিত। গত ৫ আগস্টে গণ অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকার পতনের পরপরই সেখ জুয়েলসহ শেখ পরিবারের প্রায় সবাই ভারতে আশ্রয় নেন। এর আগে শেখ পরিবারের অনেকেই ৬২৬ জনের মধ্যে ছিলেন সেনাবাহিনীর হেফাজতে।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে সময় সুুযোগমতো ক্যান্টনমেন্টের নিরাপত্তা হেফাজত থেকে বের হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যান।
একাধিক সূত্র বলছে, শেখ জুয়েলের মতো শেখ পরিবারের অনেক সদস্যই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন বিশেষ প্রক্রিয়ায়। আধার কার্ডে শুধু নিজের নাম নয়, পাল্টে ফেলেছেন বাবার নামও।
ওই কার্ড দিয়ে তারা ভারতে চলাফেরা করে আসছেন স্বাধীনভাবে। আবার ভারতে আশ্রয় নেওয়া অনেককে আবার ট্রাভেল কার্ডও দেওয়া হয়েছে।
সেই কার্ড ব্যবহার করে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারছেন। তবে শেখ জুয়েল কলকাতাতেই বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন।
তার বড় ভাই শেখ হেলাল, শেখ সোহেল এবং ছোট ভাই শেখ রুবেলও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেই অবস্থান করছেন।