সিলেট জেলা হাসপাতাল নির্মাণের ১ বছরেও চালু হয়নি

রোকেয়া বেগম : সিলেট জেলা হাসপাতালটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কারণে নির্মাণের ১ বছরেও চালু হয়নি। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নাকি সিভিল সার্জন দায়িত্বে থাকবেন তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। ফলে হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়ে জটিলতার কারণে চালু হচ্ছে না হাসপাতালটি। জানা গেছে, ২০২৩ সালে মাঝামাঝিতে শেষ হয় সিলেট জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ কাজ। প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই হাসপাতালে আছে ১৯টি আইসিইউ, ৯টি সিসিইউ ও ৪০টি কেবিন। পাশাপাশি রয়েছে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার সুবিধাও। তবে, হাসপাতাল নির্মাণের এক বছর পেরোলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নাকি সিভিল সার্জন কার্যালয় দায়িত্বে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এতে চালু হয়নি হাসপাতালটির কার্যক্রম।

জেলা গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর বলেন, ‘আমরা সঠিকভাবে এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে দেব। বাই মিসটেক এখানে যেহেতু লোকাল অথরিটি পাওয়া যায়নি, সেহেতু আমরা অথরিটি নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছি।’

স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, হাসপাতালটি নির্মাণের শুরু থেকেই তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের কথা থাকলেও আমলে নেয়নি গণপূর্ত বিভাগ।

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান বলেন, যদি এখানে তত্ত্বাবধায়ক বা প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ না হয়, তাহলে এই দায়িত্বটা কীভাবে আমরা নেব! আর আমাকে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকেও কোনো নির্দেশনা নাই।

জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর পিডি দিয়ে কাজগুলো করানো হয়। এই ক্ষেত্রে এইখানে কিন্তু ওইটা নাই।

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় স্বাস্থ্যসেবা পেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরবাসী। দ্রুত হাসপাতালটির কার্যক্রম চালুর দাবি তাদের।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি ফারুক মাহমুদ বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক। এইটাতে আমরা ক্ষুব্ধই বলা চলে। আমরা হতবাক যে এইটার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছেন না। আমাদের দাবি অনতিবিলম্বে এইটা চালু করা হোক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।