সিলেটের ভোলাগঞ্জে টাস্কফোর্সের অভিযানে পাথরসহ ১৩৬ নৌকা জব্দ
সুরমা টাইমস ডেস্ক : সিলেটের ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাংকারের আশেপাশের এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স টিম সোমবার অভিযান চালিয়ে ১৩৬টি বারকি নৌকা ও ৫০০ ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে। জব্দকৃত নৌকা ও পাথর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের হেফাজতে রাখা হয়েছে।অভিযানস্থলটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে অভিযান পরিচালিত হয়।এ প্রসঙ্গে ৪৮ বিজিবি জানায়, রাত সাড়ে ১২টা থেকে সোমবার ভোর সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সীমান্ত পিলার ১২৪৯/এম পি থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে এ অভিযান হয়।বিজিবির আহ্বানে অভিযানের শুরুতে অংশ নেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক পর্যন্ত রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশে রোপওয়ের লোডিং স্টেশনের বাংকার এলাকা পড়েছে।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পাথর পরিবহনে স্থল ও জলপথের বিকল্প হিসেবে ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতক পর্যন্ত রজ্জুপথ (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে আছে ভোলাগঞ্জ লোডিং স্টেশন (বাংকার) ও ছাতক খালাস স্টেশন।বাংকারের ৩৫৯ একর জমি, অবকাঠামোসহ রেলের স্থাপনা, যন্ত্রপাতি দেখভাল করতে ২০০০ সাল থেকে আনসার বাহিনী দায়িত্বে ছিল। ২০১২ সালে রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আনসার বাহিনীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) দায়িত্ব নেয়।তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট রাতে বাংকারের দায়িত্বে থাকা আরএনবি সদস্যদের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করলে ৭ আগস্ট বাংকার থেকে আরএনবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়। এই সুযোগে রোপওয়ের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুটপাট, গাছ কাটা এবং নানা কৌশলে পাথর তুলা হচ্ছে।