নবীগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
ষ্ঠাফ রিপোর্টারঃ নবীগঞ্জে বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদরর সর্ববৃহৎ দুর্গা উৎসব। গতি ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
৫ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব উদযাপন শেষে ১৩ অক্টোবর রবিবার বিকেলে সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জে ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ করেছেন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মাধবপুর বিসর্জন ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজার শেষ দিনে সন্ধার মধ্যে থানা পুলিশ, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, আনসার সদস্য এবং উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ৯২টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- এ প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এর আগে, দশমীর দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দেয়ার মাধ্যমে সিঁদুর খেলায় মাতেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন মা। তার এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব।
প্রতিমা বির্সজনের পুরো বিষয়টি তদারকি করেন উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন পিপিএম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রঙ্গ লাল রায়, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকনও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উত্তম কুমার পাল হিমেল,ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নোমান আহমদ,পজীপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, পুজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নীল কন্ঠ দাশ শামন্ত নন্টীসহ বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নবীগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে সার্বজনীন দুর্গাপূজা সম্পন্ন করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশ, আনসার বাহিনী ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন নবীগঞ্জে সব সময় তারা সম্প্রীতির মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা পালন করে থাকেন।