রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের অভয় আশ্রমের মাছ রক্ষায় রাতে অভিযান- ইউ এন ও তাহমিলুর রহমান

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সারী রেঞ্জ আওতাধীন বন বিভাগের ৫০৪ একর বনভুমি এলাকা নিয়ে রাতারগুল জলাবন সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত।

বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণীর ও দেশীয় মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের অভয় আশ্রমের মাছ রক্ষা করতে হাঠাৎ করে রাতে অভিযান করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান ও গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোস নিয়ে অভিযান পরিচলনা করেন।

গত ১৮ই সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২ ঘটিকার সময় হঠাৎ করেই অভিযানে পরিচলনা করেন নির্বাহী কর্মকর্তা এসময় রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের অভয় আশ্রমের এলাকা থেকে মাছ শিকার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ছাই, অবৈধ কারেন্টজাল, বিশেষ ধরনের রিং জাল জব্দ করেন।

আইন-শৃঙ্খলার উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারীরা পালিয়ে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বনে ভেতরে খালে পানি কমে গেছে। এ সময় এলাকার কিছু অসাধু মাছ শিকারিরা রাতের অন্ধকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মাছ শিকারের ।

এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানাযায় রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টের অসাধু কিছু ব্যাক্তি অভয় আশ্রমের ভেতরের খালে পানি কমে আসলে অসাধু কর্মতাদের যোগসাজশে মাছ নিধন করে অবাধে ।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, সিলেটের পর্যটন নগরী হিসাবে পরিচিত এর মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি পর্যটক স্পট রয়েছে মিঠা পানির সুন্দরবন ক্ষেত রাতাগুল সোয়াম্প ফরেস্ট অন্যতম স্পট, রাতাগুল সোয়াম্প ফরেস্ট রক্ষা করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি এলাকার জন সাধারন এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন।

পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে একটি। এই জলাবকে রাতারগুল, বাগবাড়ি ও পূর্ব মহিষখেড় এলাকার ৫০৪ দশমিক ৫০ একর ভূমি নিয়ে মিঠাপানির এই জলাবনের অবস্থান। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এই বনে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে।

যার মধ্যে বনে রয়েছে বেত, কদম, হিজল, করচ ও মুর্তাসহ নানা জাতের জল সহিষ্ণু গাছ রয়েছে। এছাড়াও এই বনে ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৭৫ প্রজাতির পাখি এবং ৯ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে। সারি রেঞ্জ কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন মুঠো ফোনে এ বিবষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সারী রেঞ্জ আওতাধীন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বন বিভাগ ও স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করেছে আমরা বন ভিভাগের লোক জন আ-প্রাণ চেষ্টা করি রাতাগুল সোয়াম্প ফরেস্ট নিরাপদ ও ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা করতে। উল্লেখ্য যে এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর। একে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও ৩১ মে ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসবে ঘোষণা কর হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।