নাজিরবাজার ট্র্যাজেডি: ঘাতক সেই ট্রাকচালক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক::

 

সিলেটের নাজিরবাজার এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাকচালক মো. শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

গতকাল শনিবার (১০ই জুন) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলার সদর থানা এলাকা থেকে মো. শফিকুল ইসলাম (২৭) নামের ওই ট্রাকচালককে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার নয়াপাড়া মোকসেদপুর এলাকার মো. মিস্টার মিয়ার ছেলে।

আজ রবিবার (১১ই জুন) দুপুর ১টায় র‍্যাব-৯ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান উইং কামান্ডার মো. মোমিনুল হক (জিডিপি)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঘটনার পর আহত অবস্থায় ট্রাকচালক মো. শফিকুল ইসলাম পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে খুঁজে না পেলেও শুক্রবার র‍্যাব-৯ এর একটি টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকচালককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর শফিকুলকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব।

গত ৭ই জুন ভোরে নগরের আম্বরখানা থেকে পিকআপে করে নারীসহ প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক নিয়ে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে যাচ্ছিল।

 

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছলে মুনশিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আলুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান আরও চারজন।

ঘটনার পরদিন ট্রাক ও পিকআপচালকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়ার ইজাজুল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ইজাজুলের বাবা সায়েদ নুর এ দুর্ঘটনায় নিহত হন।

 

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ আলী (২৫), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাম মিয়া (২৬), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০),

 

দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিস মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫),

 

গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪),

 

দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশা (২২) ও দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মায়েদ নুরের ছেলে বাদশা (২২)।

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।