সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন এক মেয়র ও সাত কাউন্সিলর প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক::

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় বাদ যাওয়াদের মধ্যে এক মেয়র ও সাত কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে থাকা সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের কাছে তারা আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান।

তবে আপিলেও প্রার্থিতা পাননি দুই মেয়র প্রার্থী ও দুই কাউন্সিলর প্রার্থী। গতকাল মঙ্গলবার দিনব্যাপী সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আপিলের এই শুনানি হয়।

 

সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব এবং পরিচালক স্থানীয় সরকার) মো. জাকারিয়া বলেন, “আপিল করা প্রার্থীদের মধ্যে দুজন মেয়র প্রার্থীর আপিল নামঞ্জুর হয়েছে।

 

এর বাইরে সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে আরও দুই প্রার্থীর আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। বাকি আট প্রার্থীর আপিল মঞ্জুর হয়েছে। তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই।”

 

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হলেন মো. শাহজাহান মিয়া।

এ ছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামলী সরকার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তাহমিনা বেগম এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কামরুন নাহার চৌধুরী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

 

আর সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ফখরুল ইসলাম, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রফিকুল ইসলাম এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাব উদ্দীন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১শে জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

গত  ২৩শে মে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া এবং গত ২৫শে জুন মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই শেষ হয়েছে।

 

আগামী ১লা জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। এবং আগামী ২রা জুন প্রতীক বরাদ্দ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামতে পারবেন প্রার্থীরা।

 

মেয়র পদে মনোয়ন বৈধ হওয়া অন্য ৬ প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল,

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু ও মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন।

 

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার এগারো জন কাউন্সিলরের মধ্যে সাত জন ফিরে পেয়েছেন তাদের প্রার্থিতা। যার মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৩ জন রয়েছেন।

 

যার ফলে চূড়ান্ত লড়াইয়ে ৩৭২ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যাদের মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে (পুরুষ কাউন্সিলর) প্রার্থীর সংখ্যা ২৮৫ জন আর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।