ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগটি মিথ্যা: অপপ্রচারের প্রতিবাদ

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নগদ ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সুযোগ্য ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের রাজনৈতিক ইমেজকে সংকটে ফেলতে ও রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে বলা হয়েছে:
প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ঘটনায় মামলা রজু ও অভিযুক্ত কিশোর কাওছার আহমদ (১৮) কে গ্রেপ্তার ঠেকাতে অপচেষ্টা চালিয়েছেন চেয়ারম্যান। গ্রেপ্তারকৃত কিশোর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কাঁচারচক গ্রামের কাওছার আহমদের পিতা আব্দুল বারীর কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে বাদীপক্ষকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছেন চেয়ারম্যান। এমন বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। উক্ত অভিযোগের সাথে চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মিথ্যা অভিযোগটি করা হয়েছে। বরং সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ধর্ষনের ঘটনায় ভুক্তভোগীকে বিচার সহযোগিতা করেছে। অপরাধীর রাজনৈতিক, পেশাগত, সামাজিক কিংবা অন্য কোন পরিচয় নূন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বহন না করে তাৎক্ষণিক মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন চেয়ারম্যান।

উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি আমার নজড়ে আসলে আমি ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে তাৎক্ষণিক থানায় এজাহার দায়ের করতে বলেছি। যেহেতু ধর্ষন একটি অপরাধ। কোন ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলে এর বিচার আমরা জনপ্রতিনিধিরা করতে পারিনা। বিষয়টি পুলিশ দেখবে। এমনটাও আমি ভুক্তভোগীর পরিবারকে জানাই। অথচ, একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে কয়েকজন হলুুদ ও কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।

আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কেউ কারো বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার চালালে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

উল্লেখ্য, রফিকুল ইসলাম একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল জনপ্রতিনিধি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত তিনি। তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি।দলীয় মনোনয়ন থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হলেও দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত তাঁকে নির্বাচনি মাঠে থাকতে হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করেন তিনি। অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তিনি। তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অবিরত কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।