আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই- অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে ক্লাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার র‍্যালিটি সকাল ১০ টায় বের হয়ে সিলেট নগরীর উপশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে কলেজ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি প্রবন্ধ থেকে বাংলার ভাষা আন্দোলেনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৫২ সালে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানরা মাতৃভাষায় জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে ৩০লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলা ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জন করি। ভাষার জন্য এত মানুষ রক্ত দিয়েছে, যা বিশ্বে
দ্বিতীয় নজির নেই। লাল সবুজের পতাকাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে তরুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। একটি আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

বিদেশমূখি না হয়ে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য তরুন প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। ক্লাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ’র প্রিন্সিপাল মো: লবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও
পৌরনীতি ও সুশাসন’র প্রভাষক মুহাম্মদ উসমান গণির পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক জিল্লুর, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, বাহরাইন’র সভাপতি মুহাম্মদ কায়েস আহমদ, ট্রাস্ট ব্যাংক শাহজালাল উপশহর শাখার ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, আল এমদাদ ডিগ্রি কলেজ’র গভর্ণিং বডির সভাপতি মঞ্জুর আহমদ, মেন্দিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন।

শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন গণিত বিভাগের শিক্ষক আমিন উদ্দিন ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন কামরুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ফিন্যান্স
অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক কামাল নেওয়াজ, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক ফাহাদ গাফফার নাহিদ, বাংলা বিভাগের প্রভাষক সেলিম আহমেদ, আইসটি বিভাগের প্রভাষক আদিয়া আক্তার তন্নি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক কামাল নেওয়াজ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মহান একুশে ফেব্রæয়ারি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং স্পোর্টস প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানঅতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ।

 

 

 

-বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।