সুরমা টাইমস ডেস্ক :
আওয়ামী সরকারের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি আসাদুজ্জামান নূরের অর্জিত সকল সম্পদ সুনির্দিষ্ঠভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে তদন্তকালে প্রাপ্ত তার নিজ নামীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ যাতে তিনি অন্যত্র হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন, সেজন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৮ বিধি এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৬ ধারা অনুযায়ী- স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বেশি মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নূরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন, এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন।
এছাড়া তার নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা, এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।