সুরমা টাইমস ডেস্ক :
খেলাঘর’র ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় সোপান হল রুমে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ্য (সাবেক) তাপসী চক্রবর্তী লিপি’র সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক তপন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক দৈনিক যুগোভেরী সিলেট এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অপূর্ব শর্মা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাশরুক জলিল, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিধান দেব চয়ন, সোপান সিলেটের অন্যতম সদস্য শ্যামল চন্দ্র দে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪.৩০ টায় প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সোপান সিলেট এর শিক্ষক শাহীন আহমদ।
১.৩০ ঘন্টা ব্যাপি প্রতিযোগিতায় বিপুল সংখ্যক শিশু—কিশোরদের অংশ গ্রহনে এক শিশু—কিশোর মেলার পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং শিশু—কিশেররা মনের আনন্দে‘এস চলি খেলা করি’ বিষয়ে চিত্রাঙ্কন এবং ‘এস দেশের গান গাই’ বিষয়ে সংগীত পরিবেশন করে।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন ’৫২ মহান ভাষা আন্দোলনের পরই শিশু—কিশোরদের সুস্থ্য সাংস্কৃতিক ধারায়
দেশাত্ববেধে জাগ্রত করতে খেলাঘরের সৃষ্টি।
শোষন মুক্ত সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভবিষ্যত জাতি গঠনে খেলাঘরের বিকল্প নেই। আর সে লক্ষে খেলাঘর দীর্ঘ ৭৩ বৎসর যাবত কাজ করে যাচ্ছে।
খেলাঘর কোন অন্যায় অবিচার অত্যাচার আর শিশু নিপিড়নের বিরোদ্ধে সর্বদা সোচ্চার। মহান মুক্তিযোদ্ধে খেরাঘর নিজস্ব পতাকা নিয়ে অংশ গ্রহণ করে হারিয়েছে অনেক তাজা প্রাণ।
ফিলিস্তিন গাজায় শিশু হত্যার বিরোদ্ধে খেলাঘরের আজও আপোষহীন।’২৪ এর গণ অভ্যুথানে শিশু—কিশোর হত্যর বিরোদ্ধে খেলাঘর প্রতিবাদী। বৈষম্যহীন সমাজ বির্ণিমানে একটি সুস্থ্য—সবল আর সংস্কৃতিবোধ সম্পন্ন
জাতি প্রয়োজন। আর খেলাঘর সে লক্ষে শিশু—কিশোরদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খেলাঘর সিলেট জেলা কমিটির সহ—সভাপতি কনোজ চক্রবর্তী বুলবুল, সহ—সভাপতি সত্যপ্রিয় দাশ শিবু, সম্পাদক আহমেদুর রশিদ রিপন, সম্পাদক পরিতোষ বাবলু, সম্পাদক ধ্রুব গৌতম, সদস্য রাজিব নাইডু, সদস্য হরিপদ গোস্বামী প্রমুখ।
আলোচনা শেষে শিশু—কিশোররা কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করে। খেলাঘর সেলেট জেলার বিভিন্ন আসরের ভাই—বোনদের পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক চিত্রশিল্পী এন যোগেশ্বর অপু এবং সংগীত প্রতিযোগিতার বিচারক মুনালি চৌধুরী সুমিতা এবং সুজিত তালুকদার প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষনা করেন।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় সেরা তিন হয় দেবস্মিত ঘোষ, জয়ত্রী পাল পুষ্পিতা, ভাগ্যশ্রী চন্দ। সংগীত প্রতিযোগিতায় সেরা তিন হয় স্নেহা দাস, সূচনা দাস, পূর্ণিমা সরকার।
বিজয়ীদের অতিথিরা পুরষ্কার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।