নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র’র ঘুস দুর্নীতিতে জড়িত দুই গুণধর পুলিশ অফিসারকে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ স্বাক্ষরিত আদেশে প্রশাসনিক কারনে দুই পুলিশ অফিরসাকে বদলি করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার।
বদলিকৃতরা হলেন, তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম চৌধুরী, তদন্ত্র কেন্দ্রর টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বার। এর মধ্যে কালামকে আপাতত দূর্গম হাওর থানা ধর্মপাশা, জব্বারকে দুর্গম হাওর থানা শাল্লায় বদলি করা হয়।
তাহিরপুর থানার ওসিকে ১৮ই এপ্রিলের মধ্যে দ্রত ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ থেকে প্রতাাহারকৃত পুলিশ হেডকোয়ার্টারে রিপোটকৃত এসপি আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খানকে ম্যানেজ করে মাত্র দেড় মাসের মাথায় এএসআই আব্দুল জব্বার তাহিরপুর থানার সীমান্ত চোরাচালান প্রবণ , জাদুকাটা নদীর খনিজ বালি পাথর কেন্দ্রিক থানা এলাকার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পোষ্টিং বাগিয়ে নেন।
একই পথে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হিসাবে টানা দু’মেয়াদে থাকার পর মোটা অংকের ঘুস দিয়ে বাদাঘাট পুরিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ হিসাবে পোষ্টিং বাগিয়ে নেন এএসআই আবুল কালাম চৌধুরী।
পোষ্টিং পেতে তাদেরকে তদবীরে সহযোগিতা করেন তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন।
এরপর আর কালাম –জব্বারকে পেছনে ফিওে তাকাতে হয়নি। ওসি আর সাবেক এসপি দেখানো পথে জাদুকাটা নদীর খনিজ বালি পাথর চুরিতে গোপন সহযোগিতা, নদীতে সেইভ ড্রেজার চালানো, নদীর পাড় কাটা, নদীর এপার- ওপার বালি পাথর কোয়রি করানো ভারতীয় মাদক, বিড়ি, চিনি, ফুসকা, মসলা, কসমেটিকস, কয়লা চোরাচালান সহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িতদের সহযোগিতা করে নিজেরা এমনকি বুলবুল ওরফে ফির্টিং বুলবুল নামে পেষাদার এক মাদক ও চোরাকারবারি কারবারি সোর্সকে দিয়ে দু’হাতে কামাতে থাকেন লাখ লাখ টাকা।
সম্প্রতি গভীর রাতে তদন্দ্র কেন্দ্রের ব্যারাকে ফিটিং বুলবুল চেয়ার টেবিলে বসে গুণে গুণে ঘুসের চাঁদাবাজির টাকার বান্ডিল তুলে দেয় তদন্ত্র কেন্দ্রর টু আইসি এএসআই আব্দুল জব্বারের হাতে।
জব্বার তখন খালী ঘায়ে খটিয়ায় বসে টাকার বান্ডিল বুঝে নিতে থাকেন। এমন একটি ভিডিও কান্ডে জড়িয়ে পড়ে নানা শ্রেণি পেশার মানুষজনও সুশীল সমাজের নিকট বিতর্কে ফেলেন গোটা পুলিশ বাহিনী বাহিনীকে।
গতকাল বুধবার বদলি ও অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম চৌধুরী, তদন্ত কেন্দ্রর টুআইসি এএসআই আব্দুল জব্বারকে ফোন করা হলে তারা এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
গতকাল বুধবার তাহিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের বলেন, থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দুই পুলিশ অফিসারের বদলি বিষয়টি শুনছি, আদেশের কপি আসলে তাদেরকে দ্রুত ছাড়পত্র দেয়া হবে।