সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমায় এক প্রবাসীর বাড়ীতে চুরির ঘটনায় এক সপ্তাহ পেড়িয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ মামলা রেকর্ড করছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
জানা যায়, গত ৬ই এপ্রিল নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের শিববাড়ী এলাকার জৈনপুর ১নং রোডের মাসুক মিয়ার ৫ তলা ভবনের ৪র্থ তলায় এক প্রবাসীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে।
বালাগঞ্জ থানার উজিয়ালপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী এলাইচ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম ও তার মেয়ে জৈনপুরের ওই ভবনে প্রায় ৮ বছর ধরে বসবাস করছেন।
এলাইছ মিয়া সৌদি আরব এবং তার একমাত্র ছেলে পর্তুগাল প্রবাসী। চোরেরা ঘরের আলমীরা ভেঙে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা এবং নগদ ১ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সালমা বেগম জানান, তারা ঈদ উপলক্ষে ২৭শে মার্চ গ্রামের বাড়ী বেড়াতে যান এবং ৭ই এপ্রিল গ্রামের বাড়ী থেকে ফিরে ঘরের বাসার তালা খোলা দেখতে পান ।
পরে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখে ভবনের অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও কেয়ারটেয়ারকে ঘটনাটি অবগত করেন।
ভবনের বসবাসকারী অন্যান্য বাসিন্দাদের প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, ৬ই এপ্রিল রাত ২ থেকে ৩টার দিকে ভবনের ৪র্থ তলা থেকে জোরে জোরে কিছু একটা শব্দ শুনতে পান তারা। তাই তারা ধারণা করেন ওই সময়ে চুরির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
সালমা বেগম জানান, ৭ই এপ্রিল দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে সরেজমিন পরিদর্শন করে গেলেও এখন পর্যন্ত তারা বাদি সালমা বেগমের অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করেন নি বলে তিনি জানান। তাই তিনি তার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার ও বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন।
সালমা বেগম আরো বলেন, জানিনা কোন রহস্যজনক কারণে পুলিশ আমাদেরকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছে না। যদিও তাদের দায়িত্ব আমাদের চুরি হওয়া মালামাল দ্রুত উদ্ধার করে দেওয়া কিন্তু তারা সময়ক্ষেপণ করে যাচ্ছেন।
অপরদিকে বাড়ীর মালিক পক্ষ থেকেও আমাদের কে মামলা মোকদ্দমায় না জড়াতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এত টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেল।
এখন আমরা কিভাবে নিরবে বসে থাকি। আমার স্বামী ও সন্তানের কষ্টের অর্জন এক নিমেষেই শেষ হয়ে গেল । ৫তলা এই ভবনের প্রবেশের জন্য একটি মাত্র কলাপসিবল গেইট রয়েছে।
তাই কারও পক্ষে অন্য উপায়ে ভবনে প্রবেশ করা সম্ভব নয় প্রধান গেইট ব্যতিত। ভবনটিতেও রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
দক্ষিণ সুরমা থানায় দাখিলকৃত এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে অজ্ঞাতনামা চুরেরা তার বাসার দরজার তালা খুলে বাসার ভিতরে থাকা বটি দা গিয়ে স্টীলের আলমীরা ভেঙে প্রায় ৬ ভরি স্বর্ণ যার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা এবং নগদ রক্ষিত ১ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বাড়ীর কেয়ারটেকারের কাছে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে চাইলে কেয়ারটেকার মিরাশ তাকে সিসি টিভির ফুটেজ দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং কোন প্রকার আইনী ঝামেলায় না জড়ানোর উপদেশ দেন।
দক্ষিণ সুরমা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন । তিনি আরো বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি । বাসার তালা ভাঙ্গা পাওয়া যায় নাই।
আমাদের টিম ঘটনাটি তদন্ত করছে। তদন্ত করেই বিস্থারিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে না বিযয় টা সত্য না।