নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে ১৭ বছরের এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে মাওলানা শফিকুর রহমান (৪২) নামের মসজিদের এক ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
লম্পট মাওলানা শফিকুর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বানীগ্রামের মৃত আবদুল বারির ছেলে ও ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও ওই মসজিদে পরিচালিত ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশের একজন সহকারী শিক্ষক।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাওলানা শফিকুর রহমান।
এবার মাহে রামাদানে ওই মসজিদে ইত্তেহাদুল কুররা অধীনে কেরাত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়। তিনি ওই কেন্দ্রের একজন সহকারী শিক্ষক।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম রামাদান থেকে মসজিদে ইত্তেহাদুল কুররার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভিকটিম কিশোরি ভর্তি হয়।
এর পর থেকে ওই মসজিদের ইমাম ও ইত্তেহাদুল কুররার শিক্ষক মাওলানা শফিকুর রহমানের কু-নজর পড়ে ভিকটিম কিশোরির দিকে।
এক পর্যায়ে গত ৬ই মার্চ দুপুর ১টার দিকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ছুটি শেষে মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে গেলে কৌশলে সহজ স্মরল ওই কিশোরকে মসজিদের ইমাম কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট ওই ইমাম।
এ ঘটনা কাউকে না বলতে কিশোরিকে ভয় দেখিয়ে প্রথমদিন সে বিদায় দেয়। দুইদিন পর গত ৮ই মার্চ দুপুরে ওই ভিকটিমকে জোরপূর্ব তার কক্ষে নিয়ে আবারও পাশবিকতা চালায় ওই লম্পট।
পরে ওই কিশোরী বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরদিন বিকেলে কিশোরীর খালা বাদী হয়ে ছাতক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই ওই ইমামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেই সাথে ওই কিশোরিকে পরিক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।