অবশেষে বিয়ানীবাজারের বিতর্কিত এসিল্যান্ড স্ট্যান্ডরিলিজ

সুরমা টাইমস ডেস্ক :

অবশেষে বিয়ানীবাজারের বহুল বিতর্কিত সহকারি কমিশনার (ভূমি-এসিল্যান্ড) কাজী শারমিন নেওয়াজকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলী) করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে প্রশাসনিক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়। এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার তিনি নিজ কার্যালয়ে যাননি।

তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের বহু অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, সহকারি কমিশনার (ভূমি-এসিল্যান্ড) হিসেবে যোগদানের পর কাজী শারমিন নেওয়াজ নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সেবা গ্রহীতার সাথে অসদাচরণ ও হয়রানির অভিযোগসহ বিস্তর অভিযোগ ভূক্তভোগী মানুষের মুখে মুখে।

তিনি পৌরশহরের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করা ব্যক্তিদের কাছ থেকেও দৈনিক হারে টাকা আদায় করতেন।

এছাড়াও জমির আকার পরিবর্তন করে খাজনার রসিদ কেটে দেয়া, সরকারি জমি বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে উৎকোচ আদায়, গোপনে বিরোধপূর্ণ জমির নামজারি করা, অবৈধ মাটিকাটা বন্ধে দূর্র্নীতির আশ্রয় নেয়াসহ নানা বিষয়ে সমালোচিত তিনি।

অফিসের চেইনম্যান আব্দুল ওদুদের মাধ্যমে ভূমি অফিসে গড়ে তোলেছেন ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। তথ্য অনুযায়ী, চেইনম্যানের অদুদের বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে বিভাগীয় ব্যবস্থা।

ভূমি অফিসে হয়রানির শিকার নারী আমিনা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিরোধীয় জমি নামজারী করেছেন এসিল্যান্ড।

ভূক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, ঘুষের টাকা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় গত বুধবার তাকে সাত দিনের কারাদন্ড দেয়া হয়।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবুল খায়ের জানান, মাটি কাটা বন্ধে অভিযোগ দেয়ার পরও ব্যবস্থা নেননি কাজী শারমিন।

বিয়ানীবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল খালিক অভিযোগ করেন, সরকারি জমিতে বেআইনীভাবে ব্যক্তিগত দেয়াল নির্মাণ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেননি তিনি।

দাসগ্রামের ওমর হোসেন অভিযোগ করেন, উচ্চ আদালতে মামলা থাকার পরও প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে বিরোধীয় ভূমি থেকে খাজনা আদায় করার চেষ্টা করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে গেলে এসিল্যান্ড তাকে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখান।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতাকে ভয় দেখাতে গত ৪ঠা আগস্ট তিনি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে পৌরশহরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের উত্তাল সময়ে বিজিবি-পুলিশ নিয়ে পুরো উপজেলা দাপিয়ে বেড়াতেন কাজী শারমিন নেওয়াজ। আন্দোলনে অংশ নেয়া অনেক ছাত্রকে প্রকাশ্যে হুমকি দিতেন তিনি।

 

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি-এসিল্যান্ড) কাজী শারমিন নেওয়াজ জানান, স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে মর্মে তিনি কিছু জানেন না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।