গোয়াইনঘাটে সরকারি কাজে চাঁদাবাজির অভিযোগ

সুরমা টাইমস ডেস্ক:

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৭২ লক্ষ টাকার সরকারি উন্নয়ন কাজে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে সরকারি উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। হুমকি দিয়ে সরকারি জনস্বার্থমূলক উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করছে। এতে ঠিকাদার নিরুপায় হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকাল রোববার (২রা ফেব্রুয়ারী) ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের এলজিইডি “কেন্দ্রা সাতকুড়ি কান্দি খাল খনন প্রকল্প” সাতকুড়ি কান্দি মৌজা, জেএল নং-১৯৭, খতিয়ান নং-১, দাগ নং-১৪,  শ্রেণী- নালাতে খাল খননের জন্য ৭২ লক্ষ ৪৪ হাজার ২১৮ টাকার কাজ পায় মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজের প্রোঃ আহমদ তানিম।

 

তিনি গত ২রা জানুয়ারি সকাল অনুমান ১১টার দিকে সরেজমিন এস্কেভেটর নিয়ে কাজ করতে গেলে ৫ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করে স্থানীয় নিহাইন গ্রামের মৃত উসমানের পুত্র ইকবাল হোসেন (৪০)সহ একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র।

ঠিকাদার চাঁদা দিতে অপারগতা জানালে ইকবাল হোসেন, মর্তুজ আলী, ওসমান আলী, আরিফ উদ্দিন, রমিজ উদ্দিন ও আব্দুল করিম সহ গং ১৪/১৫ জন চাঁদাবাজ চক্র ঠিকাদার এবং তার লোকদের উপর আক্রমণ চালায়।

এ সময় তাদের সুর চিৎকারে পাশ্ববর্তী সাতকুড়ি কান্দি গ্রামের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন।

 

বিষয়টি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানানোর পরও কোন সুরাহা হয় নি, ঠিকাদার বারবার কাজের প্রস্তুতি নিলেও আর কাজ করতে পারেন নি।

 

এ বিষয়ে মেসার্স স্বপ্নীল এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর আহমদ তানিম জানান, আমি সঠিক সময়ে কাজ করতে গেলে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ৩ টি এস্কেভেটর এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে গেলে চাঁদাবাজ চক্র বাধা দেয় এবং বলে ৫ লক্ষ টাকা না দিলে কোন কাজ করতে দেওয়া হবে না।

আমি এ ব্যাপারে লিখিতভাবে ইউএনও সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি।

এ বিষয়ে ইকবাল হোসেনর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন আমরা গ্রামের স্বার্থে কাজে বাধা দিয়েছি ।

আমরা কোন চাঁদা দাবি করি নাই।  আমরা এলাকাবাসী সবাই চাই খাল খনন বন্ধ হউক ।  আমাদের এলাকা নিচু এলাকা বর্ষা মেীসুমে আমাদের গ্রাম তলিয়ে নিয়ে যাবে।

 

এছাড়া কর্মকর্তারা যারা সরজমনি  এসেছেন আমরা তাদেরকে ও এ বিষয়ে বলেছি। তারা ১০ লাখ টাকার কাজ ৭০ লক্ষ্য টাকায় এনে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছে ।

 

আমরা উপজেলাসহ সিলেটের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, মানবন্ধন করেছি কোন লাভ হয় নাই । উল্টো আমরা চাদাঁবাজ।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: সাইদুল ইসলাম জানান, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি।

প্রকল্পের জায়গায়টি সরকারি ভূমি। এ বিষয়ে ঠিকাদারকে কাজ বাস্তবায়নে প্রশাসনিক সহযোগিতা করা হবে।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা চাঁদাবাজি প্রতিহত করে জনস্বার্থে বর্ষা মৌসুমের আগেই দ্রুত গতিতে কাজটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবস্থা নিবেন।

ইকবাল সম্পর্কে জানতে চাইলে উনি বলেন, আমি একদিন দেখেছি ওরা ইউএনও স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছে।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়টি আমি এখন জানলাম,ইকবালসহ তারা আমাদের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছে এর তদন্ত চলছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।