সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সামাজিক মাধ্যম খুললেই এখন একটাই গান, ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। সেই গান দিয়ে মিম, রিলের ছড়াছাড়ি চারপাশে। হাসির ভিডিও, কান্নার ভিডিও, মজার ভিডিও, কোথায় ব্যবহার হচ্ছে না সেই গান!।
এমনকি পিকনিকে যাওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে পার্তিতেও সেই একই গান। কিন্তু প্রশ্ন হল এই গানের আসল মানে কী, জানেন?
এটি আসলে ভারতের উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সঙ্গীত শিল্পী সত্য অধিকারীর গাওয়া এই গান। উড়িষ্যার কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা গান।
এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ছয় বছর পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।
এই গানে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন মঞ্চ অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও-র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক।
‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ/ ধনকে চিনলি তুই ননী সিনা/ মনকে চিনলি নাই/ সুনাকে চিনলি, মনাকে চিনলি/ মানুষ চিনলি নাই/ ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ’। এই গান এখন চারিদিকে ভাইরাল। কিন্তু কী মানে এই গানের জানেন?
সত্যিই লজ্জার, ননী/ তুমি শুধুই সম্পত্তি দেখলে, কিন্তু আমার ভালোবাসার প্রকৃত মূল্য দিতে পারলে না/ তুমি সোনা ও দামি গয়না চিনতে পেরেছ। কিন্তু, প্রকৃত মানুষ চিনতে পারোনি/ আমার সম্পত্তির অভাব ছিল বলে তুমি আমাকে এ ভাবে ছেড়ে দিয়েছ/ যার টাকা পয়সা আছে তার মন নাই/ আমার মনকে দেখলি না ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ।
মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছিলেন মানবভঞ্জন নায়েক। ভিডিওটির প্রযোজক ও গানটির রচয়িতা সীতারাম আগরওয়াল। গেয়েছিলেন সত্যনারায়ণ অধিকারী।
পর্দায় দেখা গিয়েছে বিভূতি বিশ্বালকে। মঞ্চশিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান ওই অভিনেতাকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।
কে জানত, দুই দশক পরে আচমকাই ভাইরাল হয়ে যাবে গানটি। ইউটিউবে ভিউ ছাড়িয়েছে প্রায় দুই কোটি। নতুন বছরে সকলের ফোনে বা অন্য ডিভাইসে বাজছে, বেজেই চলেছে ‘ছি ছি রে ননী’।