সুরমা টাইমস রির্পোট : বর্তমান বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরে শ্রম আইন কার্যকর করার দাবিতে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ। ১৭ ডিসেম্বর ২৪ বিকেল ৪টায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ ক্বীণ ব্রীজের (দক্ষিণ পাড়) মুখে জমায়েত হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কতমতলী পয়েন্টে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির সভাপতি মনির হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুমিন রাজুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক রমজান আলী পটু, জাতীয় ছাত্রদল সিলেট জেলা আহবায়ক শুভ আজাদ (শান্ত), সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুনু মিয়া (সাগর), চন্ডীপুল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম, মেডিকেল আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মো: শাহজাহান মিয়া, আম্বরখানা আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রাশেদ আহমেদ ভূঁইয়া, বন্দরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক সুনু মিয়া, বাবনা আঞ্চলিক কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জিন্দাবাজার আঞ্চলিক কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: সামির।
নেতৃবৃন্দ বলেন বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে একজন শ্রমিক যা বেতন পায় তা দিয়ে মাসের অর্ধেকও চলা দুরূহ। তার মধ্যে নিয়মিত বেতন না পাওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই শ্রমিকদের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে মজুরি ঘোষণা এবং হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সেক্টরে শ্রম আইন কার্যকর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল সহ মালিকদের একাধিকার জানালেও তা বাস্তবায়ন করছে না। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ৫-ধারায় নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র, ৬-ধারায় সার্ভিস বই প্রদানের আইন থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমে। এসকল আইন বাস্তবায়নে মালিকরা যেমন অনিহা প্রকাশ করেন তদ্রæপ তা বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তসমূহের ও তেমন কার্যকর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়না। বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ২৬-ধারায় চাকুরীচ্যূতি জনিত ৪ মাসের নোটিশ পে, ১০৩-ধারায় সপ্তাহে দেড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি, ১০৮-ধারায় দৈনিক ৮ ঘন্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা কাজ এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য দ্বিগুণ মজুরি প্রদান, ১১৫-ধারায় বছরে ১০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি, ১১৬-ধারায় ১৪ দিন অসুস্থতাজনিত ছুটি, ১১৭-ধারায় প্রতি ১৮ দিন কাজের জন্য ১ দিন অর্জিত ছুটি, ১১৮-ধারায় ১১ দিন উৎসব ছুটি প্রদানের আইন থাকলেও হোটেল শ্রমিকদেরকে এই সকল আইনগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে আওয়ামী সরকারের দলীয় বিবেচনায় লেজুড়বৃত্তিক মজুরি বোর্ড বাতিল করে অনবিলম্বে সঠিক শ্রমিক প্রতিনিধির উপস্তিতিতে বাজারদরের সাথে সংগতি রেখে নতুন মজুরি ঘোষণার দাবি জানান এবং এ প্রেক্ষিতে সকল হোটেল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান জানান। (বিজ্ঞপ্তি)
- মহান বিজয় দিবসে মদন মোহন কলেজে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
- আবাসিক হোটেল থেকে নারীসহ আ.লীগ নেতা আটক