সুরমা টাইমস ডেস্ক :
সিলেট সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় মনোমুগ্ধকর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের গতিতে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত আক্রমণের সূচনা হয়।
দিবসটিকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও সিলেট সেনানিবাসে যথাযথ মর্যাদায় একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হয় দিবসটি।
গত বৃহস্পতিবার (২১শে নভেম্বর) সিলেট সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণমান্য অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান জেনারেল অফিসার কমাণ্ডিং ১৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সিলেট এরিয়া মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, এিসসি, জি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আজিজুর রহমান বীর উত্তম।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, সশস্ত্র বাহিনীর প্রক্তন সদস্যগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান, এডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, এিসসি, জি বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে সিলেট অঞ্চলের মানুষের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি সিলেট অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং অনুষ্ঠানে আসা সকল মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারে সদস্যবৃন্ধ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি বলেন পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রত্যেকটি ক্রান্তিলগ্নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে যে কোনো দূর্যোগ মোকাবিলা, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এং বিভিন্ন দেশগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন।
সেই সঙ্গে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার বিষয়ে আলোকপাত করেণ।
