ড. ইউনূসের সাজায় বিশ্বে বিচার ব্যবস্থার অসম্মান হবে : আইরিন খান

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানবাধিকার কর্মী আইরিন খান বলেছেন, সাজার রায়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের কোনো অসম্মান হবে না। ঢাকা পোস্ট জানায়, আন্তর্জাতিক বিশ্বের তার সম্মান অটুট থাকবে। বরং তার বিরুদ্ধে রায়ের ফলে দেশেরই অসম্মান হবে, দেশের বিচার ব্যবস্থার অসম্মান হবে।

সোমবার ঢাকার শ্রম আদালতে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ছয় মাসের সাজার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। আইরিন খান বলেন, ড. ইউনূসকে পৃথিবীর সবাই ভালো করে চেনে। তিনি কী কাজ করেন তা ভালো করে জানে। তাই সাজার রায়ে ড. ইউনূসের অসম্মান হবে না। দেশের আইনের অসম্মান হবে, আদালতের অসম্মান হবে।

তিনি বলেন, বছরের প্রথম দিনে আমরা সবাই স্বপ্ন দেখি বছরটা কেমন যাবে। আমি আশা করি সরকার মানুষের মানবাধিকারের বিষয়ে সচেতন হবে এবং মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করবে। মিথ্যা বিচার করে এবং মিথ্যা কেস এনে কারো লাভ হয় না… শুধু আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে অসম্মান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিদেশের কেউ ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে প্রশংসা করছেন না। বরং সবাই নিন্দা করছেন। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা সরকারকে আগে থেকেই অনুরোধ করেছেন যেন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এই চার্জগুলো না আনা হয়। এটা যোগ্য কেস নয়। সরকার সে অনুরোধ শোনেনি।

এক প্রশ্নের জবাবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক এই মহাসচিব বলেন, যখন ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চার্জ আনা হয়েছিল… তখন থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিন্দা করে আসছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার কীভাবে লঙ্ঘন হচ্ছে! নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মানবাধিকার যদি এভাবে লঙ্ঘন হতে পারে… তাহলে আমার-আপনার মানবাধিকার লঙ্ঘন হবে না, তার কি নিশ্চয়তা আছে?

এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, আইনজীবীর কাছে শুনলাম যে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বহু পথ আছে। আমরা আশা করব আপিলে বিচারকরা যেন আইনের শাসনটা সমুন্নত রাখেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।