কানাইঘাট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাটের ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের কোনাগ্রামে ২ সন্তানের জননী সজনা বেগম (৩৫) এর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ পিত্রালয় থেকে উদ্ধার করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ।
খবর পেয়ে কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি অলক কান্তি শর্মা একদল পুলিশ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে নিহত সজনা বেগমের পিত্রালয়ে যান।
সেখানে বসত ঘরের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় সজনা বেগমের লাশ উদ্ধার পরবতীর্ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
তবে সাজনা বেগমের মৃত্যু নিয়ে এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অনেকে জানান, সজনা বেগম বীরদল মাঝপাড়া গ্রামের সৌদিআরব প্রবাসী শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী। স্বামী প্রবাসে থাকায় তাদের ৬ বছরের এক ছেলে ও ৪ বছরের এক মেয়েকে স্থানীয় এক কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষক মঈনুলকে দিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন।
এই সুবাদে সজনা বেগমের সাথে শিক্ষক মঈনুলের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠলে এ নিয়ে প্রবাসী স্বামী শরিফ উদ্দিনের সাথে সজনা বেগমের মনোমালিন্য দেখা দেয়।
এতে সংসারে অশান্তি দেখা দিলে সপ্তাহ দিন পূর্বে সজনা বেগম স্বামীর বাড়ি থেকে তার পিত্রালয়ে চলে আসে। সকাল বেলা সজনা বেগমের পিত্রালয়ের লোকজন বসত ঘরের একটি কক্ষে তীরের সাথে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেন।
এ ব্যাপারে নিহতের পিত্রালয় ও স্বামীর বাড়ির লোকজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে এএসপি অলক কান্তি শর্মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সজনা বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে লাশ উদ্ধারের সময় স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, সজনা বেগমের সাথে মঈনুল নামের এক শিক্ষকের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল, এ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তাছাড়া সজনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।