নিজস্ব প্রতিবেদক::
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং এর অনুমোদিত ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বাইরে কোনো সংগঠনকে দল স্বীকৃতি দেয়নি।
সুতরাং “বিএনপি” কিংবা “জাতীয়তাবাদী” নাম ব্যবহার করে যেকোনো ভূঁইফোড়, অবৈধ বা স্বঘোষিত সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত কার্যক্রম ও কর্মসূচির সঙ্গে দলের কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপির অনুমোদিত অঙ্গ সংগঠনসমূহ হলো: জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, মহিলা দল, জাসাস (জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা), কৃষক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দল, ওলামা দল ও মৎস্যজীবী দল।
এবং অনুমোদিত সহযোগী সংগঠন হলো: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
উল্লিখিত তালিকার বাইরে বিএনপির কোনো অনুমোদিত সংগঠন নেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নাম বা ‘জাতীয়তাবাদী’ শব্দ ব্যবহার করে কেউ যদি নতুন সংগঠনের ব্যানারে কার্যক্রম পরিচালনা করে কিংবা নেতাকর্মীদের সেখানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে—তবে তা সরাসরি দলের গঠনতন্ত্র, আদর্শ ও শৃঙ্খলার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
গত সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন- বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কেউ কোনো সংগঠন করলে এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয়তাবাদী নামে কোনো সংগঠন করলে ও দলের কোনো নেতাকর্মী যদি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি পালনে যান তা হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে, জেলা ও মহানগর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ বলেন- আমরা লক্ষ্য করছি কিছুদিন ধরে সিলেটের বিভিন্ন মার্কেট ও রাস্তার পাশে বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার সহযোগী এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অবস্থান নিয়ে বসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সিলেট জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন মার্কেট, সড়কপথ ও জনসমাগমস্থলে বসে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কিছু ব্যক্তি বেআইনিভাবে অবস্থান গ্রহণ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।
এ সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্দেশ পাওয়ার পর যদি কারও বিরুদ্ধে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায় তবে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।