জনস্বার্থে ২৬ নং ওয়ার্ডের ৩৯ জন জমি দাতাদের জানাই সম্মান ও শ্রদ্ধা : মেয়র আরিফ
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ
‘‘দেশের অন্যান্য সিটিতে অনেকেই এক ফুট জমি দান করা দুরের কথা, সরকারী রাস্তা কিংবা ড্রেন নির্মাণে স্বেচ্ছায় ভুমি ছাড়তে কেউ রাজি হয়না, সেখানে হযরত শাহজালাল (রঃ)’র পূণ্যভুমি সিলেট সিটির বাসিন্দারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে কোটি কোটি টাকা মূল্যের জমি স্বেচ্ছায় দান করে উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন, যারা নিজের বাড়ি ঘর, দেয়াল ভেঙে রাস্তা নির্মাণের জন্য নিজ নামীয় ভুমি নিঃস্বার্থভাবে দান করেছেন, তাদের নাম আজীবন ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের প্রায় ৩৯জন ভুমিদাতাদের জানাই সম্মান ও শ্রদ্ধা’’ ১০ সেপ্টেম্বর রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় কদমতলী পয়েন্টে ২৬ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে জমি দাতাগণের মধ্যে সম্মাননা সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
২৬ নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপনের সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড সচিব সুলতান আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, বাবলা আহমদ তালুকদার। স্বাগত বক্তব্যে প্রদানকালে রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন বলেন, সিটির বাসিন্দারা ১৫হাজার কোটি টাকা মূল্যের জমি সিটিকে দান করেছেন, আজকের এই সনদপত্র ভবিষ্যৎতে অনেকের জরুরী কাজে লাগবে, এ সনদপত্র সংরক্ষনের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, অ্যাডভোকেট মামুন হোসেন, ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা দুলাল আহমদ, সমাজসেবী শাহ আলম জুনেদ, সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার সুপারিন্টেড আলী আকবর, ২৬ নং ওয়ার্ড
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান জুনেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল মতিন, আব্দুল মালিক, সাইফুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, সাবেক বিডিআর সদস্য কবির আলী, সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মো. লুলু মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ইছাক মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, ইঞ্জিনিয়ার
আব্দুল মুনিম আজম আলী।
যারা জমি দান করেছেন তাদের মধ্যে সম্মাননা সনদপত্র গ্রহন করেন, ভার্থখলা মসজিদ কমিটির পক্ষে মোতাওয়াল্লী হাজী মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, স্টেশন রোডের ভার্থখলা এলাকার বাসিন্দা শফিকুল হক, সুজন আহমদ, আব্দুল মজিদ, মো. খোকন বেগ, মো. মোক্তার আলী, আবুল হাসনাত শাহিদ, সাহেদুর রহমান, মো. নানু মিয়া, মো. নুর মিয়া, মো. সাজ্জাদ আলী, মো. আনোয়ার মিয়া, মো. আব্দুল মতিন,
শাহেদুর রহমান, মোছাম্মদ ছুরুতুননেছা, আব্দুল কাদির, মো. লিলু মিয়া, মো. ইউসুফ আলী, হাজী সোনা মিয়া, কদমতলীর বাসিন্দা মো. মকবুল হোসেন, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ তৌফিক বকস্ লিপন, আলহাজ¦ হেলাল বকস্, ভার্থখলার বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ, মো. আবুল কাশেম, জিঞ্জির শাহ মাজার কমিটির পক্ষে নূর হোসেন, কদমতলীর বাসিন্দা মরহুম হাজী আব্দুল বারীর পক্ষে তিনির ছেলে বদরুল ইসলাম,
মরহুম হাজী নেছার আহমেদের পক্ষে মসাইদ মিয়া, বাবুল মিয়া, খসরু মিয়া, ভার্থখলার বাসিন্দা সাব্বির আহমদ, মিজানুর রহমান রিফাত, মো. বিরাই বক্ত, কদমতলীর আব্দুল কাইয়ুম, আলমগীর হোসেন, ঝালোপাড়ার আরমান মাহমুদ, আব্দুস ছাত্তার মামুন, ভার্থখলার আব্দুল আহাদ প্রমুখ।